সুপ্রিম কোর্ট
বার সম্পাদকের কক্ষ ভাঙচুর, আওয়ামীপন্থি ৪ আইনজীবী আহত
সুপ্রিম কোর্ট বার প্রাঙ্গণে নির্বাচনে ভোট ডাকাতির অভিযোগ এনে বিক্ষোভ শুরু করে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। এ সময় আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরাও অবস্থান নেন সেখানে। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এতে আহত হন ৪ জন। মঙ্গলবার (১৬ মে) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি-সম্পাদকের কক্ষের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, এসময় আওয়ামীপন্থি তিন নারীসহ চার আইনজীবী আহত হয়েছেন। তারা হলেন, অ্যাডভোকেট সাবিনা ইয়াসমিন খান মৌলি, অ্যাডভোকেট শবনম মোস্তারি মৌসুমী, অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম ও অ্যাডেভোকেট রাজিয়া সুলতানা।
এসময় সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদকের কক্ষের দরজা জানালাও ভাঙচুর করা হয়।
আরও পড়ুন> আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের বিক্ষোভ
এর আগে থেকেই নির্বাচন ও ভোট নিয়ে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ সমাবেশ করে আসছেন তারা।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ও আওয়ামীপন্থি আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদূন নুর দুলাল সাংবাদিকদের জানান, বিএনপির আইনজীবীদের হামলায় আমাদের বেশ কয়েকজন আইনজীবী আহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ‘আমরা (আওয়ামীলীগ পন্থী আইনজীবীরা) আমাদের কক্ষে বসা ছিলাম। তারা (বিএনপির আইনজীবীরা) ছিল বাইরে।’
আবদুন নূর দুলাল বলেন, ‘আমাদের আইনজীবীদের ওপর সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়েছে। সহিংসতা উস্কে দিয়েছেন তারা।’
আরও পড়ুন> আইনজীবী সমিতি নির্বাচন/ সব পদে আওয়ামীপন্থিদের নিরঙ্কুশ জয়
গত ১৫ ও ১৬ মার্চ হট্টগোলের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন। ১৪টি পদের সব কটিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেল জয়ী হয়েছে।
যদিও নির্বাচনে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিলো বিএনপি সমর্থকরা। এরপর থেকে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা আন্দোলন করে আসছেন। এর মধ্যে ৩০ মার্চ একদল আইনজীবী তলবি সভা ডেকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন।
সুপ্রিম কোর্ট বার সমিতির সদস্যদের ব্যানারে আয়োজিত ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম। সভায় আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদকে আহ্বায়ক এবং আইনজীবী শাহ আহমেদ বাদলকে সদস্য সচিব করে সুপ্রিম কোর্ট বারে ১৪ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন কমিটি গঠন করা হয়।
এফএইচ/এসএনআর/জিকেএস