তাপ ও গরম

আইনজীবীদের পোশাকের বিষয়ে আলোচনায় বসবেন প্রধান বিচারপতি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৪৬ পিএম, ১১ মে ২০২৩
ফাইল ছবি

বাংলাদেশের তাপমাত্রা ক্রমে বেড়ে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে কালো কোটের কারণে আইনজীবীদের অসহনীয় গরম সহ্য করতে হয়। তাই আইনজীবীদের পরিধেয় পোশাকের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) জাগো নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান।

তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত তাপমাত্রা বাড়ছে। এ গরমে আদালতে শুনানির সময় আইনজীবী-বিচারকদের কালো কোট ও গাউনে পরিবর্তন আনা যায় কি না সে বিষয়ে সিনিয়র বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনা করবেন প্রধান বিচারপতি। শনিবার (১৩ মে) বেলা ১১টায় সুপ্রিম কোর্টে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে গত ১৮ এপ্রিল উচ্চ তাপমাত্রার প্রেক্ষাপটে আইনজীবী ও বিচারকদের জন্য গ্রীষ্ম ও শীতকালীন ভিন্ন ভিন্ন ড্রেস কোড নির্ধারণের জন্য প্রধান বিচারপতি বরাবর আবেদন করা হয়। ইমেলযোগে সুপ্রিম কোর্টের দুইজন আইনজীবী ও একটি সংস্থার পক্ষ থেকে এ আবেদন করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন>> গরমে ড্রেসকোড পরিবর্তন চেয়ে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন

আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ মূলত একটি গ্রীষ্মপ্রধান দেশ। বছরের প্রায় ৮ মাস উচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করে এখানে। বাংলাদেশে আইনজীবীদের আদালতে পরিধানের জন্য সিভিল রুলস অ্যান্ড অর্ডারস, ক্রিমিনাল রুলস অ্যান্ড অর্ডারস, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ রুলস ১৯৭৩ এবং আপিল বিভাগের রুলস ১৯৮৮ তে শীত এবং গ্রীষ্মকালে একই ধরনের পোশাক পরিধানের কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে প্রচলিত আইনজীবীদের পোশাকটি মূলত ব্রিটিশ ভাবধারা এবং আবহাওয়া বিবেচনায় নির্ধারণ করা হয়েছিল। কালের বিবর্তে আবহাওয়ার ব্যাপক পরিবর্তন হওয়ায় বর্তমানে বাংলাদেশ একটি গ্রীষ্ম প্রধান দেশ হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। কিন্তু আইনজীবীদের কল্যাণ এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনের সুবিবেচনায় পোশাকের কোনো পরিবর্তন করা হয়নি।

ফলে দেশের হাজার হাজার আইনজীবী প্রতিবছরের মার্চ মাস থেকে অক্টোবর পর্যন্ত উচ্চমাত্রার কারণে অসহনীয়, শারীরিক ও মানসিক কষ্ট সহ্য করে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে লাখ লাখ বিচারপ্রার্থীকে আইনি সেবা দিয়ে আসছেন। একই সঙ্গে নিম্ন এবং উচ্চ আদালতের বিচারকরা একই ধরনের পোশাক পরিধান করায় অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করে যাচ্ছেন। অতিরিক্ত গরমে নিয়মানুযায়ী কালো কোট, গাউন, কলার, ব্যান্ড/ টাই পরিধানের কারণে প্রতিবছর বহু আইনজীবী হিটস্ট্রোকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন এবং অনেক আইনজীবী অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

আবেদনে আরও বলা হয়, এর আগে করোনা মহামারির সময়ে প্রধান বিচারপতির নির্দেশনায় ড্রেসকোড পরিবর্তন করা হয়েছিল এবং তাতে আদালতের বিচারকার্য বা আইনজীবীদের পেশাগত কোনো অসুবিধা হয়নি। তাই আইনজীবী, বিচারপ্রার্থী, বিচারক এবং বিচার বিভাগের সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে আইনজীবীদের প্রচলিত পোশাকের পরিবর্তন আবশ্যক বিধায় বিষয়টি সুবিবেচনায় নিয়ে আইনজীবী এবং বিচারকদের জন্য গ্রীষ্ম ও শীতকালীন ভিন্ন ভিন্ন ড্রেসকোড নির্ধারণের আবেদন জানানো হয়।

ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির, ল' অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের পক্ষে ব্যারিস্টার মো. কাউছার ও আইন বায়েজীদ হোসাইন এ আবেদন করেন।

এফএইচ/এমএএইচ/জিকেএস

 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।