তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন

সুপ্রিম কোর্টে বিএনপি আইনজীবীদের বিক্ষোভ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৩৮ পিএম, ১৬ এপ্রিল ২০২৩

তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় অভিযোগ গঠনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।

রোববার (১৬ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনের সামনের চত্বরে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতারা এ বিক্ষোভ সমাবেশ করে।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন-জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সভাপতি আবদুল জব্বার ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক গাজী মো. কামরুল ইসলাম সজল, আইনজীবী মোহাম্মদ আলী, মো. আক্তারুজ্জামান, মোর্শেদ আল মামুন লিটন, হুমায়ুন কবীর মঞ্জু, শফিউল আলম মাহমুদ, মো. কামাল হোসেন, মাহবুবুর রহমান খান প্রমুখ।

এর আগে গত ১৩ এপ্রিল ঢাকার সিনিয়র যুগ্ম জজ মো. আছাদুজ্জামান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় তাদের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

মামলায় তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমান পলাতক রয়েছেন। এ অবস্থায় তাদের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগের আবেদন এদিন নামঞ্জুর করেন আদালত।

গত ২৯ মার্চ পলাতক এ দুই আসামির পক্ষে মামলার শুনানিতে অংশ নিতে আবেদন করেন অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার। আদালত এ বিষয়ে শুনানির জন্য ৯ এপ্রিল তারিখ ধার্য করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ওই আবেদনের শুনানি হয়।

এরও আগে গত ১ নভেম্বর একই আদালত তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর গত ৫ জানুয়ারি তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন আদালত। এতেও তারা হাজির না হওয়ায় ১৯ জানুয়ারি তাদের আদালতে হাজিরে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়।

এরপর গত ৩১ জানুয়ারি বিজি প্রেস থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এবার তাদের অনুপস্থিতেই অভিযোগ গঠন শুনানির এ দিন ধার্য করা হয়।

চলতি বছরের ২৬ জুন হাইকোর্ট তারেক ও জোবায়দাকে ‘পলাতক’ ঘোষণা করে ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকার দুর্নীতি মামলা দায়ের ও তার প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে করা পৃথক রিট আবেদন খারিজ করে দেন।

রিট খারিজ করে দেওয়া রায়ে হাইকোর্ট একইসঙ্গে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দায়ের করা এ মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতকে যত দ্রুত সম্ভব বিচার কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশ দেন।

এ ছাড়া ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে এ রায় পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে মামলার রেকর্ড ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে পাঠাতে বলা হয়।

ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।

২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপরই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবায়দা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।

এফএইচ/এমআইএইচএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।