বায়ুদূষণ
ঢাকার রাস্তায় দিনে দুইবার পানি ছিটানোর নির্দেশ
রাজধানীর পূর্বাচল থেকে শুরু করে গাবতলী, যাত্রাবাড়ী ও ধামরাই পর্যন্ত যেসব স্থানে বেশি ধুলাবালির সৃষ্টি হয় এবং যেসব এলাকায় বেশি বায়ুদূষণ সৃষ্টি হয়- সেসব এলাকায় দিনে দুই বার পানি ছিটানোর নির্দেশনা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এসব এলাকায় সকাল-বিকাল দুই বার পনি ছিটাতে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা, ডিএমপি কমিশনার, রাজউক চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
রিটকারী ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে অগ্রগতি আবেদনের বিষয়ে শুনানি নিয়ে রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: নতুন বছরে একদিনও বিশুদ্ধ বাতাস পায়নি ঢাকাবাসী
আদালতে আজ মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) করা রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আমাতুল করীম।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার জাগো নিউজকে বলেন, ‘ঢাকা মহানগরী এখন বিশ্বের এক নম্বর বায়ুদূষণের নগরীতে পরিণত হয়েছে। আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকার পরও প্রশাসনিক বা দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার কারণে আজকে বায়ু যেভাবে দূষিত হয়েছে, ওনারা (কোর্ট) ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সেই সঙ্গে সিটি করপোরেশন ও অন্যান্য যারা স্টেকহোল্ডার রেসপনডেন্ট ছিলেন তাদের ৯ দফা একটি নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সেখানে প্রথমেই যে নির্দেশনা ছিল, অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে ওনারা (কোর্ট) যে যে নির্দেশনা দিয়েছিলেন, সকালে এবং বিকেলে পানি ছিটাবেন, তাতে যেন কোনো ব্যর্থতা না থাকে, কোনো ধরণের অপারগতা তারা দেখতে চান না। যেখানেই দূষণ হবে সেখানেই ওনারা (দায়িত্বশীলরা) পানি ছিটাবেন।’
‘এছাড়াও নির্দেশনা রয়েছে ধুলাবালি, ময়লা-আবর্জনা বা কাঁদামাটি পরিষ্কারের সময় যেগুলোর পাশে ডাম্পিং করা হয় সেগুলো অপসারণের জন্য নির্দেশনা রয়ে গেলো। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে নাম ধরেই বলা হয়েছে পুরো রাজধানী জুড়ে যেখানেই বায়ুদূষণ হচ্ছে এসব স্থানে পানি ছিটানোর যেন ব্যত্যয় না ঘটে। এর ব্যত্যয় ঘটলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেছেন আদালত।’
আরও পড়ুন: শিশুদের শরীর-মনে প্রভাব ফেলছে বায়ুদূষণ, বাড়ছে রোগবালাই
২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারি হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে উন্নয়নমূলক কাজের কারণে ঢাকা মহানগরীতে ধুলাবলিতে বায়ুদূষণ প্রতিরোধে সকাল-বিকাল রাস্তায় পানি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এক ইসঙ্গে ঢাকা শহরে যারা বায়ুদূষণের কারণ সৃষ্টি করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সপ্তাহে দুই বার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আবারও সেই আদেশ বাস্তবায়নের নির্দেশনা দিলেন আদালত।
এফএইচ/ইএ/জিকেএস