জাতির সংকটময় মুহূর্তে খন্দকার মাহবুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন
দেশের সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনের স্মরণে শোকসভা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতির আয়োজনে এ শোকসভা হয়।
এসময় শোকসভায় বক্তারা বলেন, জাতির সংকটময় মুহূর্তে খন্দকার মাহবুব হোসেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি সারাজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। সমাজ সেবা বা মানুষের সেবার কথা বলতে গেলে খন্দকার মাহবুব হোসেনের কথা বলতে হবে। তিনি এমন একজন ব্যক্তি ছিলেন যাকে সব দিক দিয়ে অনুকরণ করা যায়। খন্দকার মাহবুব হোসেনের মৃত্যু নেই। তিনি মানুষের অন্তরে বেঁচে থাকবেন।
খন্দকার মাহবুব হোসেনের স্ত্রী ও অন্ধ কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান অধ্যাপিকা ফারহাত হোসেনের সভাপতিত্বে শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতি শরীফ উদ্দিন চাকলাদার। আলোচনায় অংশ নেন আইনজীবী ফোরামের সাবেক সদস্য সচিব ফজলুর রহমান, সাংবাদিক শওকত মাহমুদ, আইনজীবী তৈমূর আলম খন্দকার, শাহ মো. জহিরুল হক, নাসরিন খন্দকার, খন্দকার মাহবুব হোসেনের জুনিয়র মো. শিশির মনির, মুস্তাফিজুর রহমান, মাসুদ রানা, মাহবুবুর রহমান দুলাল প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি শরীফ উদ্দিন চাকলাদার বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সময় খন্দকার মাহবুব হোসেন আমাকে পথ দেখিয়েছেন। তখন তাকে আমি বলেছিলাম আইন আমাদের হাত পা বেধে দিয়েছে। তিনি বলেছিলেন, সুযোগ পাবেন। আইনের হাত পা বাধা যায় না। খন্দকার মাহবুব হোসেনের মৃত্যু নেই। যতদিন আমরা বেঁচে আছি তার মৃত্যু নেই। তিনি আমাদের অন্তরে বেঁচে থাকবেন। তিনি সারাজীবন মানুষের উপকার করে গেছেন। তার গুণের শেষ নেই। আজীবন তিনি মানুষকে সাহায্য করেছেন।
সাংবাদিক শওকত মাহমুদ বলেন, যেখানে দেশে মানবিকতা লোপ পেয়েছে সেখানে খন্দকার মাহবুব হোসেন দাঁড়িয়েছেন। মানুষের উপকারে কাজ করেছেন। খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য তিনিই প্রথম ফৌজদারী কার্যবিধি ৪০১(১) ধারার কথা বলেছেন। তার বক্তব্যের পর সরকার আদালত কেন্দ্রীক ব্যবস্থা থেকে সরে এসে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেন।
এফএইচ/এমআইএইচএস/এএসএম