মামুনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলা চলবে


প্রকাশিত: ০৭:১২ এএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

অর্থ পাচারের অভিযোগে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য বাতিলে হাইকোর্টের রায় খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলায় দুই সাক্ষীকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। ফলে নিম্ন (বিচারিক) আদালেতে এ মামলা চলতে আর বাধা নেই।

দুদকের করা এক আবেদনের নিষ্পত্তি করে বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। অপরদিকে আসামি মামুনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।

আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, মামলটি এখন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এ সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। আপিল বিভাগের আদেশের ফলে এ মামলা চলতে আর কোনো বাধা নেই। এছাড়া এ আদেশের ফলে ওই দুইজন আসামিও থাকবেন। আবার তাদের দেওয়া সাক্ষ্যও এ মামলায় ব্যবহার করা যাবে।   

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালসের চেয়ারম্যান এম শাহজাদ আলীর পাওয়া রেলের সিগন্যাল আধুনিকায়নের কাজ বাতিলের হুমকি দিয়ে মামুন ২০০৩ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে প্রায় ৬ কোটি এক লাখ ৫৭ হাজার ৭৬২ টাকা `কমিশন` আদায় করেন। ওই অর্থ কয়েক দফায় লন্ডনের ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংকের একটি শাখায় পাচার করেন তিনি।

এ মামলায় মামুনের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ৩১ অক্টোবর অভিযোগ গঠন করেন। এরপর সাক্ষ্য নেওয়ার মামলা বাতিলে হাইকোর্টে আবেদন করে মামুন। হাইকোর্ট মামলা বাতিল না করে এ মামলার সাক্ষী এম শাহজাদ আলী ও তার স্ত্রী তাহমিনা আলীর দেওয়া সাক্ষ্য বাতিল করে দুইজনকে আসামি করার নির্দেশ দেন।

হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিলে যায় দুদক। বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগ দুদকের আবেদনের নিষ্পত্তি করে এ আদেশ দেন।

এফএইচ/আরএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।