উপ-নির্বাচন
প্রার্থিতা ফিরে পেতে হিরো আলমের রিট
বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগে শূন্য ঘোষিত বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপ-নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছেন আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম।
রিটে হিরো আলমের প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ারও আর্জি জানানো হয়েছে। রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), নির্বাচন কমিশনের সচিব, জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়েছে।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় হিরো আলমের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম এ রিট আবেদন করেন।
এর আগে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ থেকে এ রিটের বিষয়ে অনুমতি নেন বলে জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম।
বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন হিরো আলম। কিন্তু ভোটার তালিকায় গরমিল থাকায় তার মনোনয়নপত্র প্রথমে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা পরে নির্বাচন কমিশন থেকেও বাতিল করা হয়। এরপর প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট করলেন হিরো আলম।
গত ৮ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে দুপুর ১টার দিকে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: বগুড়ার দুই আসনেই হিরো আলমের মনোনয়ন বাতিল
এরপর হিরো আলম মনোনয়ন গ্রহণ ও বাতিল সংক্রান্ত বিষয়ে গত ১০ জানুয়ারি আপিল করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে। সেই আপিলেও গত ১২ জানুয়ারি খারিজ করেন নির্বাচন কমিশন।
গত ১০ জানুয়ারি হিরো আলম এ বিষয়ে জাগো নিউজকে বলেন, হিরো আলমরা কখনো হতাশ হয় না। তারা জীবনটা মানুষের জন্য উৎসর্গ করে। মানুষ তাদের অনেক ভালোবাসে। তাদের সঙ্গে সবসময় থাকে।
আরও পড়ুন: প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করলেন হিরো আলম
তিনি আরও বলেন, আজ রাতে বগুড়া থেকে ঢাকা রওয়ানা দেবো। সোমবার (৯ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন অফিসে যাবো। কাগজ জমা দেবো। এতে যদি কাজ না হয় হাইকোর্টে যাবো প্রার্থিতা ফিরে পেতে। এলাকার মানুষ তো আমাকে নির্বাচনে দাঁড়াতে উৎসাহ দিয়েছে। তারা কথা দিয়েছে এবার আমাকে ভোট দেবে।
আরও পড়ুন: বগুড়ার দুই আসনে মনোনয়নপত্র কিনলেন হিরো আলম
এ প্রসঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের ১ শতাংশ ভোটার তালিকায় গড়মিল পাওয়া গেছে। সেখানে কয়েকজন ভোটারের সমর্থন না পাওয়ায় মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় নির্বাচনেও আলোচিত হিরো আলম বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে মনোনয়নপত্র তোলেন। ২ ডিসেম্বর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের প্রথম দিনই হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। আপিল করলে নির্বাচন কমিশন শুনানির পর তা বাতিল করে।
মনোনয়নপত্রে ভোটারের সই জালিয়াতির অভিযোগ তুলে আপিলেও তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে উচ্চ আদালতে তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়।
একই বছরের ১৫ ডিসেম্বর তৎকালীন বগুড়ার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের হাতে পছন্দের ‘সিংহ’ প্রতীক তুলে দেন। ওই সময় তিনি ৬৩৮ ভোট পান। এতে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। তবে ভোটের মাঝমাঠে গিয়ে অবশ্য তিনি নির্বাচন বর্জন করেন।
এফএইচ/জেএইচ/জিকেএস