দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির সম্পদ
দুদক-এনবিআরসহ চার সংস্থাকে অনুসন্ধানের নির্দেশ
তথ্য গোপন করে দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির সম্পদ কেনার অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান করতে দুদকসহ চার প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে দুদক ছাড়াও পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে রুল জারি করেছেন আদালত। রুলে যেসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বেআইনিভাবে দুবাইয়ে মানিলন্ডারিং করে বাড়ি, ফ্ল্যাট বা অন্য কোনো সম্পদ গড়েছেন তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আইন ভঙ্গ করে গড়া এসব বাড়ি ও অন্য সম্পদে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে এ নির্দেশ আদালত।
আরও পড়ুন: অর্থ পাচারে উৎসাহ, আমিরাতের ওপর নিষেধাজ্ঞার দাবি
আদালতে আজ রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
দুদকের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান শুনানি করেন। এছাড়া আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল সুমন হক শুনানিতে অংশ নেন।
‘দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির হাজার প্রপার্টি’ শিরোনামে গত ১০ জানুয়ারি একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি যুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস গত ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন।
এর আগে, ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবির নন্দী দাস। রিটে দুদক, অর্থসচিব, বাণিজ্য সচিব ও পররাষ্ট্র সচিবকে বিবাদী করা হয়।
আরও পড়ুন: সুইস ব্যাংকে টাকা রাখছেন কোন বাংলাদেশিরা?
আগের দিন বুধবার (১১ জানুয়ারি) দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির হাজার প্রপার্টি সংক্রান্ত গণমাধ্যমে আসা সংবাদের বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনা হয়।
ওই সংবাদে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজের সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরি জানিয়েছে, বাংলাদেশে তথ্য গোপন করে দুবাইয়ে প্রপার্টি কিনেছেন ৪৫৯ বাংলাদেশি।
আরও পড়ুন: দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির সম্পদের বিষয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হবে
২০২০ সাল পর্যন্ত তাদের মালিকানায় সেখানে মোট ৯৭২টি প্রপার্টি ক্রয়ের তথ্য পাওয়া গেছে। কাগজে-কলমে যার মূল্য সাড়ে ৩১ কোটি ডলার।
এফএইচ/কেএসআর/আরএডি/এমএস