সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের অব্যাহতির আবেদনে নারাজি দেবেন বাদী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৩৮ পিএম, ১৫ জানুয়ারি ২০২৩
ফাইল ছবি

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারি নথি ‘চুরির চেষ্টার’ অভিযোগে ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস’ আইনে করা মামলায় ডিবি পুলিশের দেওয়া অব্যাহতির আবেদনের ওপর নারাজি দিতে সময়ের আবেদন করা হয়েছে। সময়ের আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (১৫ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামানের আদালতে বাদীর উপস্থিতিতে রোজিনার অব্যাহতি আবেদনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। এদিন বাদীর আইনজীবী নারাজি দেওয়ার জন্য সময়ের আবেদন করেন। আদালত আইনজীবীর দেওয়া সময়ের আবেদন মঞ্জুর করেন।

আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনার বিরুদ্ধে নথি চুরির সত্যতা পায়নি ডিবি

এর আগে ১৫ নভেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান সাংবাদিক রোজিনার অব্যাহতি আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করেন।

ওইদিন মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণের বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম সেদিন আদালতে হাজিরা দেন। এরপর বিচারক চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ না করে প্রতিবেদন গ্রহণের জন্য ১৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।

আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনার বিরুদ্ধে মামলায় যে অভিযোগ এনেছে স্বাস্থ্য বিভাগ

তারও আগে আগে ২০২২ সালের ৪ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মোর্শেদ আলম খান এ প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন।

আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের অব্যাহতির শুনানি ১৫ জানুয়ারি

২০২১ সালের ১৭ মে দুপুরের পর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবের একান্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলাম ভূঞার কক্ষে রোজিনা ইসলামকে প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেখানে তার বিরুদ্ধে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৩৭৯ ও ৪১১ ধারায় চুরি এবং ১৯২৩ সালের ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’র ৩ ও ৫ ধারায় গুপ্তচরবৃত্তি ও রাষ্ট্রীয় গোপন নথি নিজের দখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়। রোজিনা যেসব নথির ‘ছবি তুলেছেন’ তার মধ্যে ‘টিকা আমদানি’ সংক্রান্ত কাগজপত্রও ছিল বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

জেএ/কেএসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।