মীর কাশেমের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি শেষ বুধবার


প্রকাশিত: ০৯:২৩ এএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলীর খালাস চেয়ে করা আপিল শুনানিতে বুধবার রাষ্ট্রপক্ষের চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হতে পারে।

বুধবার আপিলের চূড়ান্ত শুনানিতে প্রথমে রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবেন। পরে মীর কাসেমের পক্ষে তার আইনজীবীরা আইনী পয়েন্টে যুক্তিতর্ক উপস্থান শেষ হলে বুধবারই মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষামাণ রাখা হতে পারে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আদালতে মীর কাসেমের পক্ষে অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, এস এম শাহজাহান  উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হওয়ার পরে আসামিপক্ষ যুক্তি খণ্ডন শেষ করবেন। উভয় পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ করার পরেই মামলার পরবর্তী পর্যায় হলো রায় ঘোষণা। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। পরে মামলার কার্যক্রম বুধবার পর্যন্ত মুলতবি করেন আদালত।

মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান।

এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি আসামিপক্ষে চতুর্থ দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন মীর কাসেমের আইনজীবী এস এম শাহজাহান। আসামিপক্ষে যুক্তি পেশ শেষে রাষ্ট্রপক্ষ ওই দিনই শুনানি শুরু করে। গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে মীর কাসেমের আপিলে যুতিক্ত শুরু হয়ে ১০,১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শুনানি চলে।

২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে আপিল করেন মীর কাসেমের আইনজীবীররা। আপিলে তার খালাসের পক্ষে ১৮১টি যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে।

২০১৪ সালের ২ নভেম্বর ট্রাইব্যুনাল-২ মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আনীত ১১ ও ১২ নম্বর অভিযোগে মুক্তিযোদ্ধা জসিম ও জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে হত্যার দায়ে আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। এর মধ্যে ১২ নম্বর অভিযোগে সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে রায় প্রদান করা হয়।

এ ছাড়া ২ নম্বর অভিযোগে ২০ বছর, ৩, ৪, ৬, ৭, ৯ ও ১০ নম্বর অভিযোগে মীর কাসেম আলীকে সাত বছর করে এবং ১৪ নম্বর অভিযোগে ১০ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। অপরদিকে ১, ৫, ৮ ও ১৩ নম্বর অভিযোগ থেকে মীর কাসেমকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় ট্রাইব্যুনালের আদেশে ২০১২ সালের ১৭ জুন মীর কাশেম আলীকে গ্রেফতার করা হয়। সে থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

এফএইচ/জেএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।