গ্যাটকো দুর্নীতি : দুই মাসের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে হবে খালেদাকে


প্রকাশিত: ০২:২৪ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
ফাইল ছবি

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা বাতিলে জারি করা রুল খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। এই রায়ের অনুলিপি হাতে পাওয়ার দুই মাসের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে।

সোমবার রায় প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এখন হাইকোর্টের রায়টি বিচারিক আদালতে যাওয়ার দুই মাসের মধ্যে খালেদা জিয়াকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে।

তবে খালেদার আইনজীবী ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী বলেছেন, আমরা এখনও রায়ের কপি হাতে পাইনি।

২০১৫ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা বাতিলে জারি করা রুল খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এই মামলায় রায় পাওয়ার দুই মাসের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ও বিচারপতি আবদুর রবের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দিয়েছিলেন।

দুদক আইনে গ্যাটকো মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে ২০০৮ সালের ১৫ জুলাই হাইকোর্ট মামলা প্রশ্নে রুল জারি ও মামলার কার্যক্রম স্থগিতের আদেশ দেন। তার আগে মামলাটি জরুরি ক্ষমতা আইনের অন্তর্ভুক্ত করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এবং বিচারিক আদালতে মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে ২০০৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। রিট শুনানির পর মামলাটি জরুরি ক্ষমতা আইনের অন্তর্ভুক্ত করা কেন ‘বে-আইনি ও কর্তৃত্ব বহির্ভূত’ ঘোষণা করা হবে না, তা জানাতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করা হয় এবং মামলার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।

এর প্রায় সাত বছর পর ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি মামলাটি সচলের উদ্যোগ নেয় দুদক। সে অনুযায়ী গতবছরের ১৯ এপ্রিল থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত খালেদা জিয়ার পক্ষে রুলের শুনানি ও যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) উপস্থাপন করেন তার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল ও ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী। অপরদিকে দুদকের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন মো. খুরশিদ আলম খান।

গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় মামলায় খালেদা জিয়া প্রধান আসামি। প্রধান আসামির করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টে কয়েক বছর ধরে স্থগিত ছিল মামলাটি। তবে এই মামলায় স্থায়ী জামিনে রয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া।

ঢাকার কমলাপুর আইসিডি ও চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডেলিংয়ে গ্লোবাল অ্যাগ্রো ট্রেড কোম্পানি লিমিটেডকে (গ্যাটকো) ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া ও তার ছোট ছেলে (প্রয়াত) আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনকে আসামি করে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী।

মামলায় গ্যাটকোকে ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ দিয়ে রাষ্ট্রের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকা ক্ষতির অভিযোগ করা হয়।

২০০৮ সালের ১৩ মে খালেদা জিয়া ও সাবেক ছয় মন্ত্রীসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয়া হয়।

এফএইচ/এনএফ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।