৩ মামলায় জামিন চেয়ে হাইকোর্টে ‘শিশু বক্তা’ রফিকুল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:২৪ পিএম, ২০ অক্টোবর ২০২২

উসকানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর তেজগাঁও, মতিঝিল ও গাজীপুরের বাসন থানায় পৃথক তিন মামলায় ‘শিশু বক্তা’ হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানী (২৭) জামিন চেয়ে আদালতে আপিল আবেদন করেছেন।

গত সপ্তাহে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তার পক্ষে অ্যাডভোকেট আশরাফ আলী মোল্লা, ব্যারিস্টার আমজাদ হোসেন ও অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম খলিল এসব আপিল দায়ের করেন।

আইনজীবীরা জানান, হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এসব আপিলের ওপর শুনানি হতে পারে।

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) আপিল আবেদনকারী আইনজীবীরা বিষয়টি নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে বলেন, সম্প্রতি ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল গাজীপুরের বাসন এবং রাজধানীর মতিঝিল ও তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় রফিকুল ইসলাম মাদানীর জামিন আবেদন খারিজ করেন। সাইবার ট্রাইব্যুনালের আদেশের বিরুদ্ধে জামিন চেয়ে আপিল করা হয়েছে।

রাষ্ট্রবিরোধী উসকানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে গত বছরের ৭ এপ্রিল রাত সাড়ে ৩টার দিকে রফিকুলকে নেত্রকোনার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। ওই সময় তার কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এরপর রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একাধিক মামলাসহ কয়েকটি মামলা করা হয়।

গত বছরের ১১ এপ্রিল রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে গাজীপুরের বাসন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়। এরপর তেজগাঁও ও মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

তার বিরুদ্ধে মারাত্মক মিথ্যা, ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে মানহানিকর তথ্য প্রকাশ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করার মতো অপরাধে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে।

গাজীপুরের টেকনাগপাড়া এলাকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলাটি করেন। একই অভিযোগে রাজধানীর মতিঝিল ও তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ।

এফএইচ/এমকেআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।