মানবতাবিরোধী অপরাধ

হবিগঞ্জের মধু মিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য ৯ নভেম্বর

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:২১ পিএম, ১৯ অক্টোবর ২০২২

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত হত্যা-গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মধু মিয়া তালুকদারের (৬৬) বিরুদ্ধে অষ্টম সাক্ষীর জবানবন্দি ও সাক্ষ্য শেষ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

এর পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) সাক্ষ্যগ্রহণ করা জন্য আগামী ৯ নভেম্বর দিন ঠিক করেছেন ট্রাইব্যুনাল। বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন।

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলম।

আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রেজিয়া সুলতানা চমন। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।

প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন জানান, আসামি মধু মিয়া বানিয়াচং থানার মুরাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপির সমর্থক। তিনি গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। প্রথমে মামলায় দুইজন আসামি ছিলেন। তবে মামলার অন্য এক আসামি মারা যাওয়ায় এখন একজন আসামি রয়েছেন।

এর আগে ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক এম এ হান্নান খান তার অপরাধের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। এসময় তার সঙ্গে সংস্থার জ্যেষ্ঠ সমন্বয়ক সানাউল হক উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান সমন্বয়ক হান্নান খান বলেন, আসামি মধু মিয়ার বিরুদ্ধে একাত্তরে গণহত্যা, হত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, লুটপাটসহ মোট পাঁচটি অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল তদন্ত শুরু হয়। এরপর গত বছরের ২৩ মে তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের আগে আসামি মধু মিয়া এবং তার বংশের লোকজন মুসলিম লীগের সমর্থক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি বানিয়াচং থানার মুরাদপুর ইউনিয়নে পিস কমিটি ও ‘মধু বাহিনী’ নামে একটি রাজাকার দল গঠন করে। তখন এ আসামি ওই রাজাকার কমিটির কমান্ডার ছিলেন। দেশ স্বাধীনের পর তিনি পলাতক ছিলেন।

১৯৭৬ সালে তিনি নিজ গ্রামে ফিরে এসে বিএনপিতে যোগ দেন এবং ২০১৬ সালে বিএনপি থেকে বানিয়াচং থানার মুরাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে বিজয়ী হন। বর্তমানে তিনি এই ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি পদে রয়েছেন।

এফএইচ/জেএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।