কুষ্টিয়ায় নিশান হত্যা: দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড কমে যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়ার মিরপুরে কিশোর ও ভ্যানচালক নিশানকে (১৪) গলা কেটে হত্যার মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড থেকে সাজা কমিয়ে দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো.রেজাউল হক ও বিচারপতি কে এম ইমরুল কায়েশের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান জামান। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী কে এম সারোয়ার জাহান।
এর আগে ২০১৭ সালের ২০ মার্চ কুষ্টিয়ার দ্বিতীয় আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. তৌহিদুল ইসলাম দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মিরপুর উপজেলার স্বরূপদহ পালপাড়া গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে সন্টু শেখ (২২) ও সলেমান কারিগরের ছেলে মাহাবুল ইসলাম (২৬)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৫ জুলাই মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ এলাকার ইনামুল মণ্ডলের ছেলে নিশান ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। পরদিন ২৬ জুলাই এলাকাবাসী মিরপুর উপজেলার ভাঙ্গা বটতৈল জিকে ক্যানেলের উত্তর পাশে গলা কাটা অবস্থায় নিশানের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। ঘটনা স্থান থেকে পুলিশ নিশানের পাখিভ্যান, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও দড়ি উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহত নিশানের বাবা অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরবর্তীতে মিরপুর থানা পুলিশ এ ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করে। এদের মধ্যে সন্টু শেখ ও মাহাবুল ইসলাম ভ্যানচালক নিশানকে হত্যার কথা স্বীকার করে।
পুলিশ তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নিশানের ভ্যানটিও উদ্ধার করে। এ ঘটনায় গ্রেফতার হন আসামি সন্টু শেখ। এরপর ওই দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। ২১ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ২০১৭ সালের ২০ মার্চ কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক তৌহিদুল ইসলাম আসামির বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দেন।
পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন। এ আপিলের শুনানি শেষে আজ এ রায় দেন হাইকোর্ট।
এফএইচ/জেএইচ/জেআইএম