‘বেঞ্চ ও বার একটি পাখির দুটি ডানা’


প্রকাশিত: ১২:৩৬ পিএম, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নবনিযুক্ত তিন বিচারপতিকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে প্রধান বিচারপতির এজলাসে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে তাদেরকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

সংবর্ধনার জবাবে আপিল বিভাগের বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার বলেন, ‘বেঞ্চ ও বার একটি পাখির দুটি ডানার মতো। বিচার অঙ্গণে বেঞ্চ ও বার একে অপরকে ব্যতীত চলতে পারে না। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আমাদের শ্রম তখনই সার্থক হবে, যখন বিচারক ও আইনজীবীদের যৌথ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তাই বার ও বেঞ্চ একে অপরের পরিপূরক হয়ে যেন ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে পারি- সেই কামনা করছি।’
 
বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, ‘দেশের জনগণ সুপ্রিমকোর্টের বিচারকদের ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার যে গুরু দায়িত্ব দিয়েছে তা পালন করতে না পারলে ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না। আমি ওই দোষ নিয়ে মরতে চাই না। এই দায়িত্ব সততা, নিষ্ঠা ও দৃঢ়তার সঙ্গে পালনে পিছপা হবো না।’
 
বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান বলেন, ‘আমি হাইকোর্টে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে আইন ও সংবিধান অনুযায়ী বিচারকার্য পরিচালনা করেছি। ভবিষ্যতেও সংবিধান অনুয়ায়ী দায়িত্ব পালন করব। এ ধরনের দায়িত্ব পালনে কখনও বিচ্যূত হবো না।’

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ক্ষোভ নিয়ে সংবর্ধনায় এসেছি। বিচারপতিদের নিয়ে আমাদের কোনো ক্ষোভ নেই। ক্ষোভ রয়েছে সরকারের প্রতি। বিচারপতি কোনো নীতিমালা না থাকায় জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করা হয়েছে। যদি নীতিমালা থাকতো, তাহলে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন হতো না, জনমনেও কোনো প্রশ্ন উঠতো না। প্রধান বিচারপতিকে স্বপ্রণোদিত হয়ে বিচারপতি নিয়োগের নীতিমালা তৈরির আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে যেন কোনো প্রশ্ন না ওঠে, সেজন্য একটি নীতিমালা করে যান।
 
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘তৎকালীন প্রধান বিচারপতির সুপারিশ থাকা সত্ত্বেও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমানকে স্থায়ী নিয়োগ দেয়া হয়নি। আজকে আপিল বিভাগের নিয়োগের মধ্য দিয়ে তখন যে অবিচার করা হয়েছিল, আজ সে সম্মান ফিরিয়ে দেয়া হলো।’

এফএইচ/এসএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।