বটতলায় বিচারপতি মানিকের প্রেস ব্রিফিং
সোমবার হঠাৎ করে সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে অনুমতি ছাড়া প্রেস কনফারেন্সের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির পর সুপ্রিমকোর্টের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। সোমবার বিকেলে হাইকোর্টের মাজার গেটের বাইরে বটগাছের নিচে ব্রিফিং করেন তিনি।
এসময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, সুপ্রিমকোর্ট কোন সভা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে পারে। রেজিস্ট্রার সুপ্রিমকোর্টের পক্ষ থেকে কোন বিজ্ঞপ্তি দিতে পারেন না। সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার প্রধান বিচারপতির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছেন।
বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, আজকে দুপুর দেড়টায় আমার সিনিয়র নেক্সট বিচারপতি ইমান আলী সাহেবের সঙ্গে দেখা করেছি। নিয়ম অনুযায়ী ফাইলগুলো তার কাছে যাবে। এর পরে আব্দুল ওয়াহ্হাব মিঞা সই করবেন।
আপিল বিভাগ থেকে গত অক্টোবর মাসে অবসরে যান বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী। এরপর তার হাতে থাকা রায় এবং আদেশগুলো আপিল বিভাগ গ্রহণ করছেন না বলে অভিযোগ করে গত রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি বরাবরে চিঠি দেন। চিঠি দেয়ার পর সুপ্রিমকোর্টের মূল ভবনের পাশে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এরপর সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন একটি ব্যাখ্যা দেন। সে ব্যাখ্যায় সুপ্রিমকোর্ট বলেন, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রায় জমা দিতে আসেননি।
এদিকে সোমবার সকালে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার অফিস থেকে জানানো হয়, সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে অনুমতি ছাড়া প্রেস কনফারেন্স করা যাবে না। এরপর কোর্টের ভেতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা না বলে কোর্টের বাইরে মাজার গেইটে বটগাছের নিচে তিনি কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, আমার হাতে লেখা রায় আবদুল ওয়াহহাব মিঞা গ্রহণ করতে রাজি হয়েছেন। এটা যদি প্রধান বিচারপতি না করতেন। তাহলে অনেক আগে রায় লেখা শেষ হয়ে যেতো।
শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, রায় দিয়েছি এটা বলিনি, রায় নিতে অনুরোধ করেছি। কিন্তু উনি (বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব) নিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। কারণ তাকে প্রধান বিচারপতি নিষেধ করেছিলেন।
এফএইচ/এসকেডি/এবিএস