‘মূল সংবিধানে বিচারপতির অপসারণ সংসদের হাতে ছিল’


প্রকাশিত: ০৯:২৮ পিএম, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুরাদ রেজা বলেছেন, ১৯৭২ সালে প্রণীত মূল সংবিধানে উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের কাছে ছিলো। তখন তো সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকে আঘাত করেনি। যদি সেই সময় আঘাত না করে থাকে তাহলে সেই ক্ষমতা পুনরায় জাতীয় সংসদের হাতে ফিরিয়ে আনায় সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়নি। কেন এবং কি কারণে আদি সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ হুবুহু পুনস্থাপন করা হয়েছে সংসদের বক্তৃতায় তা স্পষ্ট করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

১৬তম সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ সংক্রান্ত রিট আবেদনর পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানিতে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষে তিনি এসব কথা বলেন।

মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ বেঞ্চে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

মুরাদ রেজা বলেন, সংবিধানের ১৬ তম সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আনীত জনস্বার্থমূলক মামলা মেইনটেইনবল (গ্রহণযোগ্য) নয়। কি কি ক্ষেত্রে জনস্বার্থমূলক হতে পারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বনাম আবু সায়ীদ খানের মামলার রায়ে আপিল বিভাগ বলে দিয়েছে। সেক্ষেত্রে এই বিষয়ে জনস্বার্থ মামলা হতে পারে না।

তিনি বলেন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের অধীনে এখন পর্যন্ত কেউ অপসারিত হয়নি। তাহলে এই পদ্ধতিকে কি কার্যকর বলা যাবে?

এ পর্যায়ে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের উদ্দেশে আদালত বলেন, অনেকেই বলছেন এত কিছু আনএ্যামেন্ডমেন্ট রেখে (সংশোধনী না করে) বিচারকদের অপসারণের বিষয়টি নিয়ে কেন সংশোধনী আনলেন? আর সাজা দেয়ার মত কাউকে পেলাম না তার পরেও দু’একজনকে সাজা দিতে হবে এটাই কি আপনার সাবমিশন (যুক্তিতর্ক)?

জবাবে মুুরাদ রেজা বলেন, আমার বিরুদ্ধে যদি কোনো প্রসিডিংস আনা হয় তাহলে আমার উচিত নিজ থেকেই চলে যাওয়া।

এ পর্যায়ে আদালত বলেন, ক্যাসেট কেলেংকারির মামলায় একজন বিচারক নিজ থেকেই তার পদ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন।

শুনানিতে রিট আবেদনকারীর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোতাহার হোসেন সাজু উপস্থিত ছিলেন।

এফএইচ/এসএইচএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।