অধিকারের নিবন্ধন নিয়ে রিট উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ
মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের নিবন্ধন (রেজিস্ট্রেশন) নিয়ে জারি করা রুলে সম্পূরক আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (২৭ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুল খারিজ করে আদেশ দেন।
আদালতে আজ রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী অ্যাড. রুহুল আমিন ভূঁইয়া, অ্যাড. মো. ইউসুফ আলী ও মো. আহসানুজ্জামান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল ইসলাম ও শ্রী অরবিন্দ কুমার রায়।
আজ নিবন্ধনের জন্য আবেদন নিষ্পত্তি না করার নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে রিট আর না চালানোর কথা জানানোর পর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সমন্বিত বেঞ্চ রুলটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেন। মামলা না চালানোর বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন রিটকারী আইনজীবী রুহুল আমিন ভূঁইয়া ও মো. আহসানুজ্জামান।
তারা বলেন, গত ৫ জুন মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের নিবন্ধন নবায়নের আবেদনটি বাতিল করা হয়। এরপর ওই বাতিলের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আপিল আবেদন করা হয়। বিষয়টি জানিয়ে আমরা আজ আদালতে রেজিস্ট্রেশন নবায়ন করার জন্যে গত ২৮ জুন যে আপিল আবেদন করেছি, সেটি আগামী ৩ আগস্ট নিষ্পত্তি হওয়ার কথা রয়েছে। তাই ওই আপিল আবেদন শুনানির অপেক্ষায় আছি আমরা। আর এজন্য আদালত আজ রুলটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন।
এর আগে, ২০১৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর নিবন্ধন নবায়নে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালকের কাছে আবেদন করে ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত সংগঠনটি। কিন্তু ওই আবেদনে সাড়া না পেয়ে নিবন্ধন নবায়নে নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৯ সালে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
এরপর ওই বছরের ১৩ মে শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। রুলে ২০১৪ সালে করা ওই আবেদন মঞ্জুরে নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভূত হবে না এবং আইন অনুসারে নিবন্ধন দেওয়ার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চান হাইকোর্ট।
এদিকে, চলতি বছরের ৫ জুন এনজিও বিষয়ক ব্যুরো অধিকারের আবেদন নামঞ্জুর করে। তবে অধিকার ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে একটি সম্পূরক আবেদন করে। আজ এ রিটের বিষয়ে রায়ের জন্য দিন ধার্য ছিল।
তবে এ দিন আদালতে অধিকারের আইনজীবী রুহুল আমিন ভূঁইয়া রিটটি না চালানোর কথা জানান। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, অধিকারের নিবন্ধন নবায়নের আবেদন না মঞ্জুর করে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর ৫ জুনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব বরাবর আবেদন করা হয়েছে।
এফএইচ/এমপি