২০তম সাক্ষীর জবানবন্দি


প্রকাশিত: ১২:৩৪ পিএম, ২৮ জানুয়ারি ২০১৬

একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জামালপুরের আশরাফ হোসেনসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের ২০তম সাক্ষী মো. শফিকুল ইসলাম খোকা তার জবানবন্দি পেশ করেছেন। জবানবন্দিতে তিনি বলেন, পাকিস্তানি আর্মি ও আলবদররা কালীবাড়ি গ্রামের মজনুকে ধরে পিটিআই ক্যাম্পে নিয়ে যায়। মজনুর হাত ওয়ালের সাথে পেরেক দিয়ে আটকে দেয়। এবং ব্লেড দিয়ে সারা শরীরে আঘাত করে। তাকে হত্যা করা হয়।

বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষীর জবানবন্দি পেশ করার সময় এসব কথা বলেছেন।
 
সাক্ষী শফিকুল ইসলাম বলেন, তৎকালীন বিরোধী দলীয় উপনেতা অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ মুক্তার, অধ্যাপক ইমামুর রশিদ, জামালপুর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সাদু, রেজাউল করীম চৌধুরী, হায়দার চেয়ারম্যানসহ আরো অসংখ্য লোককে পিটিআই নির্যাতন কেন্দ্রে পাক আর্মি ও আশরাফের নের্তৃত্বে আলবদর বাহিনীর সদস্যরা ধরে নিয়ে নির্যাতন করে।

সাক্ষী বলেন, পাক আর্মি ও আলবদররা হামিদ মুক্তারকে রাতের বেলায় শ্মশান ঘাটে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে। সাইদুর রহমান সাদুকে মেরে ফেলতে চাইলে শ্মশান ঘাট থেকে নদীতে ঝাঁপ দেয়। শান্তি কমিটির সদস্য এস এম ইউসুফ ও অ্যাডভোকেট শামসুল হকের সুপারিশে রেজাউল করিম ও ইমামুর রশিদকে ছেড়ে দেয়। হায়দার চেয়ারম্যানকে আটকের পর ছেড়ে দেয়া হলেও পরে তার এক ভাইকে আশরাফের নের্তৃত্বে তার বাড়িতে বদর বাহিনীর লোকেরা হত্যা করে।

সাক্ষী জানান, আশেক মাহমুদ কলেজের ডিগ্রি হোস্টেলে বদর বাহিনীর নির্যাতন ক্যাম্পের নেতা ছিলেন আলবদর আশরাফ, তার সাথে মান্নান, বারী, হাশেম, হান্নানসহ প্রায় ৭০ জন আলবদর সদস্য। তৎকালীন জামালপুর মহকুমা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হালিমকে আলবদর আশরাফ ও তার সহযোগীরা ধরে এনে ওই ক্যাম্পে নির্যাতন করে হত্যা করে।

এফএইচ/এসএইচএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।