অনলাইন কজলিস্ট প্রতিদিন বাঁচাবে ৬৫ গাছ
সুপ্রিম কোর্টের কজলিস্ট (কার্যতালিকা) না ছাপিয়ে অনলাইনে প্রকাশ করা হলে প্রতিদিন ৬৫টি গাছ বাঁচবে বলে মন্তব্য করেছেন রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সৈয়দ আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিনের ছাপা কজলিস্টের কলেবর বহনযোগ্যও নয় এবং পরিবেশ বান্ধবও নয়, কারণ প্রায় ৪শ’ পৃষ্ঠার এ কজলিস্ট ছাপাতে প্রতিদিন ৬৫টি গাছ কাটতে হয়। তাই পুরোপুরি অনলাইনে যাওয়ার পর এখন এসব গাছ রক্ষা পাবে।
তিনি বলেন, গত ১ নভেম্বর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হওয়া অনলাইন কজলিস্ট এর সফল বাস্তবায়ন শেষে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি হতে কাগজে ছাপা কজলিস্ট সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে তার পরিবর্তে অনলাইন কজলিস্ট চালু করা হবে। আমাদের এই উদ্যোগ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে আন্দোলন সেটাকে আরো বেগবান করবে এবং ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
রেজিস্ট্রার জেনারেল বলেন, ৩১ জানুয়ারি থেকে প্রতিদিন রাত সাড়ে ৮টা থেকে হাইকোর্ট বিভাগের প্রত্যেকটি বেঞ্চের পরবর্তী দিনের কজলিস্ট চূড়ান্তভাবে অনলাইনে প্রকাশ করা হবে। বর্তমানে যে কজলিস্ট ছাপা হয় তাতে প্রতিটি কজলিস্টের পেছনে ৪শ’ টাকা খরচ পড়ে। যা বছরে সর্বমোট ২১ কোটি টাকা। অথচ গ্রাহক চাঁদা বাবদ মাত্র ৬০ লাখ টাকা আসে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার জাকির হোসেন, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার সাব্বির ফয়েজ প্রমুখ।
এদিকে সুপ্রিম কোর্টের এ সিদ্ধান্তের পর আইনজীবী সমিতি জরুরি সাধারণ সভা ডেকে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে। আইনজীবীরা বলছেন- কাগজের কজলিস্ট থাকলে কোর্ট চলবে, অন্যথায় কোর্ট চলবে না। এ বিষয়ে আইনজীবীরা বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাত করবেন। সাক্ষাতে আইনজীবীরা অনলাইনের পাশাপাশি কাগজে কজলিস্ট মুদ্রণের দাবি জানাবেন বলে জানা গেছে।
এফএইচ/এসএইচএস