মিল্লাতের খালাসের রায় আপিলে বহাল
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য রশিদুজ্জামান মিল্লাতকে খালাস দিয়ে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আপিল খারিজ করে সোমবার এ রায় দেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চে এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতে মিল্লাতের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল।
উল্লেখ্য, আয়কর ফাঁকির অভিযোগে ২০০৭ সালে এ মামলা করে ন্যাশনাল বোর্ড অব রেভ্যিনিউ (এনবিআর)। মামলায় তাকে ছয় বছরের সাজা দেন নিম্ন আদালত। এর বিরুদ্ধে মিল্লাত আপিল করলে নিম্ন আদালতের রায় বাতিল করে তাকে সাজা থেকে খালাস প্রদান করেন হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের সেই রায়ের বিরুদ্ধে এনবিআর সুপ্রিম কোর্টে আপিল করলে আপিল বিভাগও হাইকোর্টের রায় বহলা রাখেন।
জানা যায়, ১৯৮৭-৮৮ থেকে ২০০৫-০৬ করবর্ষে কর ফাঁকি দেয়ার অভিযোগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) উপ-কর কমিশনার মৃদুল কান্তি দাস তার বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৭ অক্টোবর এ মামলা দায়ের করেন।
অভিযোগে বলা হয়, তিনি চার কোটি ৫১ লাখ ১১ হাজার ৮০ টাকার ওপর প্রযোজ্য কর ফাঁকি দিয়েছেন। ১৯৮৭-৮৮ থেকে ২০০৫-০৬ করবর্ষে তিনি এ কর ফাঁকি দেন। মামলায় মোট ১৮ সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়ার পর একই বছরের ২৮ নভেম্বর রায় ঘোষণা করেন সংসদ ভবনে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত।
রায়ে সম্পদ গোপন করায় মিল্লাতকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানা করেন আদালত।
অন্যদিকে, মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাঁকে এক বছর কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন।
এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করলে ২০১০ সালের ১৭ আগস্ট হাইকোর্ট মিল্লাতকে খালাস দেন। পরে হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিলে যায় এনবিআর। সোমবার আপিল বিভাগ এনবিআরের আবেদন খারিজ করে দিয়ে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন।
ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল বলেন, আদালত হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায় বহাল রেখেছেন। কারণ দুদকের করা সম্পদের তথ্য গোপনের একটি মামলা হাইকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। এ জন্য এক অভিযোগে দুই মামলা চলতে পারেনা। এ যুক্তিতে আদালত খালাস দিয়েছেন।
এফএইচ/এএইচ/পিআর