কল্যাণপুরে বস্তি উচ্ছেদে নিষেধাজ্ঞা


প্রকাশিত: ০৭:৩২ এএম, ২১ জানুয়ারি ২০১৬

রাজধানীর কল্যাণপুরের নতুন বাজার পাইকপাড়ায় বস্তি উচ্ছেদ কার্যক্রমে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে যথাযথ আইন প্রক্রিয়া ছাড়া ওই বস্তি (গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের জমি) উচ্ছেদ ও বস্তির বাসিন্দাদের হয়রানি না কররাও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার  হাইকোর্টের বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর  সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন প্রবীণ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যার্টনি জেনারেল হাসানুজ্জামান।

এদিকে বৃহস্পতিবার ওই বস্তি উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বস্তিবাসীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। দুপুর ১২টায় ওই এলাকায় গণপূর্ত মন্ত্রণালয় উচ্ছেদ অভিযান শুরু করলে এ সংঘর্ষ বাধে।

আদেশের পরে সারা হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ থাকার পরও পোড়া বস্তিতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে এবং বস্তিবাসীদের হয়রানি করা হচ্ছে। এ বিষয়টি নজরে আনার পর আদালত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা কার্যক্রমকে বে-আইনি বলে উল্লেখ করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

আইন ও সালিস কেন্দ্রের আইনজীবী মো. সামীউল আলম সরকার বলেন, এ বস্তি উচ্ছেদের বিষয় নিয়ে ২০০৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর আসক, কোয়ালিশন ফর আরবান পুওর এবং দুইজন বস্তিবাসী হাইকোর্টে একটি রিট করেন। এ রিটরে শুনানি নিয়ে একই সালের ২৮ ডিসেম্বর আদালত স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন।
 
এর মধ্যে ২০০৬ সালের ১০ জানুয়ারি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বস্তি উচ্ছেদে ডিএমপির কাছে পুলিশ চান। এ উচ্ছেদ কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ চেয়ে বাদী পক্ষ ২০০৬ সালের ৬ জুন উচ্ছেদ কার্য্ক্রমে নিষেধাজ্ঞা দেন। পরের বছর হাইকোর্ট এ রিট নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে বলে আদেশ দেন।

প্রায় ছয় বছর কোনো কার্যক্রম হাতে না নিলেও চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি মন্ত্রণালয় আবারও উচ্ছেদের জন্য পুলিশ চায় এবং  আজ (বৃহস্পতিবার) পুলিশ নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা শুরু করেন। এ অবস্থায় বাদীপক্ষ বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে আবেদন করলে আদালত এ আদেশ দেন।

এফএইচ/জেডএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।