বিসিএসে উত্তীর্ণ এক প্রার্থী নিয়োগে হাইকোর্টের রুল


প্রকাশিত: ১০:০৭ এএম, ১৮ জানুয়ারি ২০১৬

৩৪তম বিসিএস চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ফাতেমা খানমকে ক্যাডার পদে কেন নিয়োগ দেয়ার নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোরর্ট। এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে পিএসসির চেয়ারম্যান, শিক্ষা সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, অর্থ সচিবসহ ৯ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি ফাতেমা খানম হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।    

এ বিষয়ে রিটকারীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাকারিয়া সরকার বলেন, ‘সংবিধানের ৪৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সকল নাগরিকের সমান অধিকার। কিন্তু ৩৪তম বিসিএস পরীক্ষায়  উর্ত্তীণ হওয়ার পরও ফাতেমা খানমকে ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। বরং নন ক্যাডার হিসেবে তালিকায় রাখা হয়েছে। অথচ আমার প্রার্থী ফাতেমা খানম শিক্ষা ক্যাডারে প্রার্থী ছিলেন। শিক্ষা ক্যাডারে ১৩২টি পদের মধ্যে ১০৭টিতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বাকি ২৫টি পদ খালি রয়েছে।’

তিনি বলেন, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মেধাক্রম অনুসারে তালিকা না করে পিএসসি নিজেদের মতো করে তালিকা করেছে। এতে করে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হওয়ার পরও পিএসসি নিজেদের মতো করে নিয়োগের সুপারিশ করছে।

২০১৩  সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ৩৪তম বিসিএসে ২০৫২ জনকে ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করে পিএসসি। চূড়ান্ত পরীক্ষার পর গত বছরের ২৯ আগস্ট তালিকা প্রকাশ করে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)। এতে ২১৫৯ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়।

প্রজ্ঞাপনে যা চাওয়া হয়েছে তার চেয়ে বেশি লোককে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তবে শিক্ষা ক্যাডারে ২৫টি পদ শূন্য রাখা হয়েছে। এতে করে ফাতেমা খানম উর্ত্তীর্ণ হওয়ার পরও তাকে ক্যাডার হিসেবে নিয়োগ না দিয়ে নন ক্যাডারে রাখা হয়েছে।

৩৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষায় ৯ হাজার ৮২২ জন উর্ত্তীণ হয়। ৬ হাজার ৫৮৪ জনকে নন ক্যাডার হিসেবে রাখা হয়েছে।   

এফএইচ/এসএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।