এবার চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি পরীক্ষা করাতে হাইকোর্টের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:০৯ পিএম, ০৬ মার্চ ২০২২
চট্টগ্রাম ওয়াসা/ফাইল ছবি

ঢাকার পর এবার বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি পরীক্ষা করতে প্রতিষ্ঠানের নামোল্লেখ করে চার সদস্যের কমিটি গঠনের আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ কমিটিকে পানি পরীক্ষা করে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এক আবেদেনের শুনানি নিয়ে রোববার (৬ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটকারী আইনজীবী তানভীর আহমেদ শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় জানান, ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিপক্ষ নম্বর এক তথা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি পরীক্ষা জন্য নিম্নলিখিত চার সদস্যের কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি পানির ২৪ পয়েন্ট থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

কমিটিতে থাকবেন— চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের একজন শিক্ষক, চট্টগ্রাম বিসিএসআইআর ল্যাবরেটরির একজন প্রতিনিধি ও চট্টগ্রাম বিভাগ পরিবেশ ল্যাবরেটরির একজন প্রতিনিধি।

এর আগে এ রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১৮ সালের ৬ নভেম্বর হাইকোর্ট ঢাকা ওয়াসার পানি পরীক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠানের নামোল্লেখ করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করার আদেশ দেন। পরে ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।

কমিটির সদস্যরা হলেন- আইসিডিডিআর,বির জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী মনিরুল আলম, বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এ বি এম বদরুজ্জামান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান সাবিতা রিজওয়ানা রহমান।

পানি পরীক্ষায় আদালতের নির্দেশে গঠিত চার সদস্যের কমিটির প্রতিবেদন ২০১৯ সালের ৭ জুলাই আদালতে উপস্থাপন করা হয়। সেই প্রতিবেদনে ঢাকা ওয়াসার ১০টি বিতরণ জোনের ৩৪টি নমুনার মধ্যে আটটি পানির নমুনায় ব্যাকটেরিয়াজনিত দূষণ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

ওই সময় ঢাকা ওয়াসার আইনজীবী ব্যারিস্টার এএম মাসুম বলেছিলেন, সমন্বিত প্রতিবেদন আসার পর সেখানে জোন-১ ও জোন-৪ একটি মিরপুর অপরটি পাতলা খান লেনে পাওয়া ব্যাকটেরিয়া মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বলে উল্লেখ করেছেন। সেই ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া হলো ফেকেল ও ই-কোলাই। ওই প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুসারে আমরা ওয়ান বাই ওয়ান কারেক্টিফিকেশনে গিয়েছি।

এফএইচ/এমএএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।