গার্ড অব অনার ছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধাকে দাফন: তদন্তের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৩৪ পিএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২
ফাইল ছবি

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ছাড়া আবদুল মোতালেব শিকদার নামে এক ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাকে’ দাফনের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) চেয়ারম্যানকে বিষয়টি তদন্ত করতে বলা হয়েছে। কমিটিকে ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু সেটি কত দিনের মধ্যে দিতে হবে, সেটি আদেশের কপি পেলে বলা যাবে বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবীরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার কাজী মাইনুল হাসান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নাসিম ইসলাম রাজু।

গত মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ আবদুল মোতালেব শিকদারকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ছাড়া দাফনের ঘটনা তদন্তে ও জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট

গত ৩১ জানুয়ারি ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ আবদুল মোতালেব শিকদারকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ছাড়া দাফন করার ঘটনা তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। সেই সঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে আবদুল মোতালেব শিকদারের কবরস্থানে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়।

এছাড়া ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ আব্দুল মোতালেব শিকদারের জানাজায় গার্ড অব অনার না দেওয়ার ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।

হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মরহুমের ছেলে রানা শিকদারের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এ রিট দায়ের করেন। রিটে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব, কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ২৮ জানুয়ারি রাতে বাজিতপুর পৌরসভার দক্ষিণ রাবারকান্দির বাসিন্দা ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ আবদুল মোতালেব শিকদার মারা যান। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর জানাজায় পুলিশ উপস্থিত থাকলেও অনুপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। এ জন্য তাকে গার্ড অব অনার দিতে পারেনি পুলিশ। পরে ২৯ জানুয়ারি বিকেল ৩টার দিকে স্থানীয় রাবারকান্দি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এ বিষয়ে বাজিতপুরের ইউএনও মোরশেদা খাতুন বলেন, মুক্তিযোদ্ধার ক্ষেত্রে গার্ড অব অনার না দেওয়ার কারণ নেই। সর্বশেষ যাচাই-বাছাইয়ের পর সমন্বিত মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় তার নাম নেই। গেজেটও হয়নি। কয়েক মাস ধরে তার ভাতাও বন্ধ রয়েছে।

এফএইচ/বিএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।