প্রশ্নফাঁস: ভাইস চেয়ারম্যান রুপাসহ ১০ জন ফের রিমান্ডে
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবা নাসরীন রুপাসহ ১০ জনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সরকারি বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে করা পৃথক দুই মামলায় তাদের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
রোববার (৩০ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিট ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালত রুপাসহ ছয়জনের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অপরদিকে ঢাকার মেট্রোপলিট ম্যাজিস্ট্রেট আফনান সুমী অন্য চারজনের দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে যাওয়া অন্য আসামিরা হলেন- হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের (সিজিএ) কার্যালয়ের কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান আজাদ, নোমান সিদ্দিকী, আল-আমিন আজাদ রনি, নাহিদ হাসান, শহীদ উল্লাহ, তানজির আহমেদ, রাজু আহমেদ, হাসিবুল হাসান ও রাকিবুল হাসান।
এর আগে রমনা থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ আলী আসামি রুপা, আল-আমিন আজাদ রনি, নাহিদ হাসান, রাজু আহমেদ, হাসিবুল হাসান ও রাকিবুল হাসানের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের প্রত্যেকের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অন্যদিকে কাফরুল থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক নূরে আলম সিদ্দিক আসামি আজাদ, নোমান, তানজির ও শহীদ উল্লাহর ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের প্রত্যেকের দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২১ জানুয়ারি দুপুরের পর থেকে রাত পর্যন্ত রাজধানীর মিরপুর, কাকরাইল ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ব্যাংকের এটিএম কার্ড, পাঁচটি চেক, নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প সাতটি, ১০টি স্মার্টফোন, ফিচার মোবাইল ছয়টি, প্রবেশপত্র ১৮টি ও চলমান পরীক্ষার ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের তিনটি সেট জব্দ করা হয়। এর পরদিন (২২ জানুয়ারি) ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় রুপাসহ ছয়জনকে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাদের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। দুইদিনের রিমান্ড শেষে ২৫ জানুয়ারি তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
জেএ/কেএসআর/জিকেএস
