আপিল শুনানির তালিকায় মীর কাসেমের মামলা


প্রকাশিত: ০২:০৮ পিএম, ০৫ জানুয়ারি ২০১৬
ফাইল ছবি

একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও দিগন্ত মিডিয়া কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ডের খালাস চেয়ে আনা আপিল শুনানির জন্য সুপ্রিমকোর্টের কার্যতালিকায় (কজলিস্টে) রয়েছে। বুধবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চে এই মামলার শুনানির দিন ঠিক করার জন্য রয়েছে। বেঞ্চের বিচারপতিরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

মঙ্গলবার মামলাটি শুনানির কথা থাকলেও আসামিপক্ষের আইনজীবী আদালতে উপস্থিতত না থাকায় তা হয়নি। এর আগে গত ১৮ আগস্ট মামলাটি সুপ্রিমকোর্টের কার্যতালিকায় আসলেও ওই দিন আপিলের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি।

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, মামলাটি আজ কায্যতালিকায়  মীর কাসেম আলীল মামলা থাকলেও তাদের প্রধান আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় আপিল শুনানি হয়নি। তিনি আরো বলেন, আবারও তালিকায় আসলে মামলাটির শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

তার আগে গত ২৮ মে আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষকে আপিলের সার সংক্ষেপ দাখিলের জন্য আরো চার সপ্তাহের সময় দেন। ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে মীর কসেম আলীর পক্ষে ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর  সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায়  আবেদন করা হয়।

আপিলে মীর কাশেম আলীর পক্ষে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন তুহিন। পরে আইনজীবী শিশির মোহাম্মদ মনির জানায়,  মীর কাসেমে আলীর পক্ষে ১৮১টি গ্রাউন্ডে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে এ আপিল করা হয়েছে। দেড়শ’ পৃষ্ঠার মূল আপিলসহ ৫ ভলিয়মে ১ হাজার ৭৫০ পৃষ্ঠায় বিভিন্ন ডকুমেন্ট পেশ করা হয়েছে।

একই বছরের ২ নভেম্বর তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে বলা হয়, প্রসিকিউশন আনীত ১৪টি অভিযোগের মধ্যে ২, ৩, ৪, ৬, ৭, ৯, ১০, ১১, ১২ ও ১৪ নম্বর অভিযোগে মীর কাসেম আলী দোষী প্রমাণিত হয়েছেন।

তবে ১, ৫, ৮ ও ১৩ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে এসব অভিযোগ থেকে খালাস (অব্যাহতি) দেয়া হয়। প্রমাণিত অভিযোগগুলোর মধ্যে ২ নম্বর অভিযোগে তাকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া। ৩, ৪, ৬, ৭, ৯ ও ১০ নম্বর অভিযোগে তাকে ৭ বছর করে মোট ৪২ বছর কারাদণ্ড দেয়, এছাড়াও ১৪ নম্বর অভিযোগ ১০ বছরের দণ্ড, সব মিলিয়ে এই ৮টি অভিযোগে তাকে সর্বমোট ৭২ বছর কারাদণ্ড।

১১ ও ১২ নম্বর অভিযোগে মীর কাসেম আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। ১১ নম্বর অভিযোগে রয়েছে কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিমসহ ছয়জনকে আটক, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে  মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। ১২ নম্বর অভিযোগে রয়েছে রঞ্জিত দাস ও টুন্টু সেনকে নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ।

মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় ট্রাইব্যুনালের আদেশে ২০১২ সালের ১৭ জুন মীর কাসেম আলীকে গ্রেফতার করা হয়। তখন থেকেই তিনি কারাগারে।

এফএইচ/এসএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।