ওয়ারিশান সনদ আইন চ্যালেঞ্জ করে তিন নারী কাউন্সিলরের রিট
সিটি করপোরেশন এলাকায় নির্বাচিত নারী কাউন্সিলরের পক্ষ থেকে ওয়ারিশান, জন্ম ও মৃত্যুসনদসহ অন্যান্য সনদ দেওয়া যাবে না মর্মে যে আদেশ দেওয়া হয়েছে তা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত আসনের তিন কাউন্সিলরের পক্ষে অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ এই রিট করেন। বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন ইউনুছ আলী আকন্দ নিজেই।
তিন আবেদনকারী হলেন সংরক্ষিত নারী আসন ১১ (৩১,৩২ ও ৩৩ নং ওয়ার্ড) এর নাসরিন রশিদ পুতুল, সংরক্ষিত নারী আসন ১৮ ( ৫২, ৫৩ এবং ৫৪ নং ওয়ার্ড) এর খালেদা আলম ও ২৫ নং ওয়ার্ডের সাহিদা বেগম।
গত বছরের ২৮ নভেম্বর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে একটি দাপ্তরিক আদেশ জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়, মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকার, জাতীয়তা ও চারিত্রিক সনদপত্র প্রদানের দায়িত্ব সিটি করপোরেশন (কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরদের দায়িত্ব, কার্যাবলি ও সুযোগ সুবিধা) বিধিমালা-২০১২ অনুচ্ছেদ নম্বর ৩(৩) অনুসারে সাধারণ কাউন্সিলরদের ওপর অর্পিত। এ জাতীয় সনদপত্র সংরক্ষিত আসনের কউন্সিলরদের প্রদানের আইনগত/বিধিগত সুযোগ নেই।
আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, সংবিধান অনুসারে সবার সমান অধিকার। কিন্তু সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরদের সনদ প্রদান না করতে আদেশ জারি করে করপোরেশন। তাই বিধিমালার ৩(৩) এবং সিটি করপোরেশনের দাপ্তরিক আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আইন অনুসারে মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকার, জাতীয়তা ও চারিত্রিক সনদপত্র সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরদের দেওয়ার সুযোগ নেই- ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এমন দাপ্তরিক আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে।
আবেদনে বিধিমালার ৩(৩) ধারা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং ২৮ নভেম্বর সিটি করপোরেশনের দাপ্তরিক আদেশ কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে না তা জনতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
রিট আবেদনে আইন সচিব, এলজিআরডি সচিব, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
এফএইচ/বিএ/এমএস