শহিদুল আলমকে নিয়মিত আপিল করার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:৪৭ এএম, ১০ জানুয়ারি ২০২২
আলোকচিত্রী শহিদুল আলম/ফাইল ছবি

তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত কার্যক্রমের বৈধতা এবং বাতিল চেয়ে জারি করা রুল খারিজ করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নিয়মিত আপিল আবেদন করার নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে শহিদুল আলমের আপিল আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (১০ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই আবেদন করার আদেশ দেন।

আদালতে আজ শহিদুল আলমের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন।

শহিদুলের আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ১৩ ডিসেম্বর তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত কার্যক্রমের বৈধতা এবং বাতিল চেয়ে জারি করা রুল খারিজ করে রায় দেন হাইকোর্ট। এর ফলে তার বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কাজ চলবে বলে জানিয়েছিলেন আইনজীবীরা।

রায়ের নির্ধারিত দিনে ১৩ ডিসেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর এ বিষয়ে শুনানি শেষে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ রায়ের জন্য ১০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। তারই ধারাবাহিকতায় এই রায়। আদালতে ওইদিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এএফ হাসান আরিফ, ব্যারিস্টার সারা হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

এর আগে ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ মামলটির তদন্ত কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের সময় ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট শহিদুল আলমকে বাসা থেকে নেওয়ার পর ‘উসকানিমূলক মিথ্যা’ প্রচারের অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় পরের দিন তাকে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। একইদিন সিএমএম আদালতে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়। পরে একই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর শহিদুল আলমের জামিন আবেদন নাকচ করেছিলেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েস।

এরপর ১৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তিনি। ৩ অক্টোবর এ জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয় এবং ৭ অক্টোবর রুল জারি করেন। সেই রুল মঞ্জুর করে ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মামলায় তাকে জামিন দেন।

২০১৮ সালের ২৯ জুলাই সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর বিচারের দাবিতে রাস্তায় নামে স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শহিদুল আলম আল-জাজিরা টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দেন। ওই ঘটনায় রমনা থানার তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।

২০১৮ সালের ৬ আগস্ট ডিবি (উত্তর) পরিদর্শক মেহেদী হাসান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ওই মামলায় ১২ আগস্ট শহিদুল আলমকে আদালতে হাজির করা হলে ঢাকা মহানগর হাকিম ফাহাদ বিন আমিন চৌধুরী কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এফএইচ/ইএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।