মীর কাসেম আলীর আপিল শুনানি হয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৪০ এএম, ০৫ জানুয়ারি ২০১৬

একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও দিগন্ত মিডিয়া কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ডের খালাস চেয়ে আনা আপিল শুনানি হয়নি আজ। আসামিপক্ষের সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন উপস্থিত না থাকায় মীর কাশেম আলীর আপিল আবেদেনের ওপর শুনানি না করে নট টুডে করেন আদালত।

মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চে নট টুডের এই আদেশ দেন। বেঞ্চের বিচারপতিরা হলেন, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

মামলা শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টের কার্যতালিকায় (কজলিস্টে) দুই নম্বরে ছিল মামলাটি।এর আগে গত ১৮ আগস্ট মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের কার্যতালিকায় আসলেও ওই দিন আপিলের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি।

আপিল শুনানির পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে আসামি এবং রাষ্ট্র উভয় পক্ষকে আপিলের সার-সংক্ষেপ জমা দিতে হয়। তাই গত ১৮ অগাস্ট মীর কাসেম আলীর আপিলের বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষকে সার-সংক্ষেপ জমা দিতে দুই সপ্তাহ সময় দেন।

আইনজীবীরা বলেন, মঙ্গলবার আপিলটি আদেশের জন্য তালিকায় ছিল। এখন আবারও বুধবারের কার্যতালিকায় মামলা আসলে শুনানির দিন ধার্য হতে পারে বা আদালত যথাযথ আদেশ দিতে পারেন।

তার আগে গত ২৮ মে আদালত আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষকে আপিলের সার সংক্ষেপ দাখিলের জন্য আরো চার সপ্তাহের সময় দেন। ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর  অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন তুহিন ১৮১টি গ্রাউন্ডে “মীর কাশেম আলীর খালাস চেয়ে আপিল করেন। ১৫০ পৃষ্ঠার মূল আবেদনের সঙ্গে ৫ ভলিয়মে এক হাজার ৭৫০ পৃষ্ঠার নথি জমা দেয়া হয়।

এর আগে ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল। রায়ে বলা হয়, প্রসিকিউশন আনীত ১৪টি অভিযোগের মধ্যে ২, ৩, ৪, ৬, ৭, ৯, ১০, ১১, ১২ ও ১৪ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত। তবে ১, ৫, ৮ ও ১৩ নম্বর অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তাকে এসব অভিযোগ থেকে খালাস (অব্যাহতি) দেয়া হয়।

প্রমাণিত অভিযোগগুলোর মধ্যে ২ নম্বর অভিযোগে তাকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। ৩, ৪, ৬, ৭, ৯ ও ১০ নম্বর অভিযোগে ৭ বছর করে মোট ৪২ বছর কারাদণ্ড দেয়, এছাড়াও ১৪ নম্বর অভিযোগ ১০ বছরের দণ্ড, সব মিলিয়ে এই ৮টি অভিযোগে তাকে সর্বমোট ৭২ বছর কারাদণ্ড।

১১ ও ১২ নম্বর অভিযোগে মীর কাসেম আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। ১১ নম্বর অভিযোগে কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিমসহ ছয়জনকে আটক, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। ১২ নম্বর অভিযোগে রয়েছে রঞ্জিত দাস ও টুন্টু সেনকে নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ।

মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় ট্রাইব্যুনালের আদেশে ২০১২ সালের ১৭ জুন মীর কাশেম আলীকে গ্রেফতার করা হয়। তখন থেকেই তিনি কারাগারে রয়েছেন।

এফএইচ/এআরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।