শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার ভোটের হিসাব হাইকোর্টে দাখিলের নির্দেশ
হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদের ভোটের হিসাবসহ সকল নথি চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৭ দিনের মধ্যে সকল নথি-পত্র আদালতে দাখিল করারও নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বিশেষ ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে তা পাঠাতে বলা হয়েছে।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানির পরিপ্রেক্ষিতে সেমবার হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি একেএম সাহিদুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী ও অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া।
পরে অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী কর্মকর্তাদের দেয়া তথ্য মতে, গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের ‘শায়েস্তাগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়’ কেন্দ্রে মেয়র পদে ভোট কাস্ট হয়েছে ১ হাজার ৬৮৯টি।
এর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবদুস ছালেক নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৮৩০ ভোট, বিএনপি মনোনীতি প্রার্থী এম এফ আহমেদ অলি ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৪৪৯ ভোট। এছাড়া বাকি পাঁচ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে নারিকেল প্রতীক পেয়েছে ৪২ ভোট, আম প্রতীক কোনো ভোট পাননি, মোবাইল প্রতীক পেয়েছে ১৫৩ ভোট, চামচ প্রতীক পেয়েছে ৬৪ ভোট, মগ প্রতীক পেয়েছে ২৬ ভোট ও জগ প্রতীক পেয়েছে ১৬ ভোট। প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোট যোগ করলে দাঁড়ায় ১ হাজার ৫৮০ ভোট। অথচ ওই কেন্দ্রে কাস্ট হয়েছে মোট ১ হাজার ৬৮৯ ভোট। অর্থাৎ এই কেন্দ্রের ১০৯ ভোটের কোনো হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না।
সানাউল্লাহ মিয়া আরো বলেন, ওই পৌরসভায় বিএনপি প্রার্থী আহমেদ অলি মোট ৮৩ ভোটে পরাজিত হয়েছেন বলে বেসরকারি ফলাফলে ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু শায়েস্তাগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে হিসাব না পাওয়া ১০৯ ভোট বিএনপি প্রার্থী পেয়েছেন বলে আমরা ধারণা করছি। তাই আদালতে ওই পৌরসভা নির্বাচনে ঘোষিত বিজয়ীর নাম গ্যাজেটভুক্ত না করতে এবং তাকে শপথ না পড়ানোর দাবি করে রিট দায়ের করেছি। আদালত আমাদের বক্তব্য শুনে ভোটের সব নথি দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ঘোষিত ফলাফলে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবদুস ছালেক মিয়া পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৭৩ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আহমেদ অলি পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৯০ ভোট।
এফএইচ/এসকেডি/পিআর