খালেদাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টে রিট
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ এ রিট আবেদন করেন। আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আইনজীবী জানান, জাতিসংঘের সার্বজনীন ঘোষণার আর্টিকেল ৩, ৫, ১১ ও ১৩(২), সংবিধানের ১১, ৩২ ও ৪৯ অনুচ্ছেদসহ ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১(১) ধারা অনুসারে উন্নত চিকিৎসায় দণ্ডিত খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে নেওয়ার অনুমতির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
রিটে আইন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্যসচিব, রাষ্ট্রপতির সচিবালয়ের সচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
রুল জারি করা হলে তা বিচারাধীন অবস্থায় ফৌজদারি কার্যবিধির বিধান, সংবিধান, জাতিসংঘের সর্বজনীন ঘোষণার অনুচ্ছেদ ও আর্টিকেল অনুসারে উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে যেতে অনুমতির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আইনজীবী আরও বলেন, ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া অনেক বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। গত ১৩ নভেম্বর গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত। তার পরিপাকতন্ত্রে একাধিকবার রক্তক্ষরণ হয়েছে।
খালেদা জিয়া হাসপাতালটির ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন। তার চিকিৎসার জন্য গঠিত হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড অবিলম্বে তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুপারিশ করেছে বলে জানানো হয়েছে।
জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে খালেদা জিয়া কারাবন্দি ছিলেন। গত বছরের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়া সরকারের নির্বাহী আদেশে প্রথমে ছয় মাসের জন্য শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি পান। পরে তার মুক্তির মেয়াদ আরও বাড়ানো হয়।
শারীরিক নানা জটিলতা নিয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিতে দীর্ঘদিন ধরে সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছেন বিএনপি নেতারা।
এফএইচ/ইএ/জেআইএম