খুলনায় নদী দখল করে গড়ে ওঠা ১৪ ইটভাটা উচ্ছেদের নির্দেশ
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার হরিয়ানা ও ভদ্রা নদী দখল করে গড় ওঠা ১৪টি ইটভাটা উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। স্থাপনা অপসারণ করে আগামী দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেছেন আদালত। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে একটি জরিপ রিপোর্ট আসার পর মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে ছিলেন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে (ইংরেজি) ‘ইউনাইটেড দে কিল রিভার্স’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে এ রিট করা হয়। জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে গত ২২ ফেব্রুয়ারি এ রিটটি করা হয়। এরপর ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালত রুলসহ আদেশ দেন।
মনজিল মোরসেদ জানান, এর আগে খুলনার জেলা প্রশাসক ও ডুমুরিয়ার এসি ল্যান্ডকে সিএস/আরএস অনুসারে জরিপ করে ভদ্রা ও হরি নদীর সীমানা নির্ধারণ করে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
সে অনুসারে জেলা প্রশাসন জরিপ করে ১৪টি ইটভাটার তালিকা আদালতে দাখিল করেন। এরপর ইটভাটা উচ্ছেদের নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করা হয়। আদালত আজ ৬০ দিনের মধ্যে ১৪টি স্থাপনা অপসারণ করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এছাড়া পরবর্তী আদেশের জন্য ২২ ফেব্রুয়ারি দিন রেখেছেন।
এফএইচ/বিএ/এএসএম