এবি ব্যাংকের ১৫ কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ
১৭৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও দুর্নীতির মামলায় এবি ব্যাংকের ১৫ কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আদালত। জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
ওই ১৫ কর্মকর্তা হলেন- মো. এরশাদ আলী (৫৩), এবিএম আব্দুস সাত্তার (৬২), আনিসুর রহমান (৬০), মো. রুহুল আমিন (৪৭), ওয়াসিকা আফরোজী (৫৯), মুফতি মুস্তাফিজুর রহমান (৪৯), সালমা আক্তার (৬৩), মোহাম্মদ এমারত হোসেন ফকির (৪৫), মো. তৌহিদুল ইসলাম (৩৮), শামীম এ মোরশেদ (৫০), খন্দকার রাশেদ আনোয়ার (৪৫), সিরাজুল ইসলাম (৩৯), মাহফুজ উল ইসলাম (৪৩), মশিউর রহমান চৌধুরী (৬১) ও শামীম আহমেদ চৌধুরী (৬৬)।
দুই আসামির জামিন চেয়ে আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (০৭ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আজ আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী গোলাম আব্বাস দুলাল। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
পরে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয় এবি ব্যাংকের ১৬৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে। এই সূত্র ধরে গত ৯ জুন একটি মামলা হয়। ওই মামলায় ১৭ জনকে আসামি করা হয়। এই ১৭ জনের মধ্যে আসামি শহীদুল ইসলাম ও আব্দুর রহিম আগাম জামিনের আবেদন করেন।
আগাম জামিনের পরে তারা নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। সেদিন নিম্ন আদালত তাদের জেলে পাঠিয়ে দেন। এরপর জেল থেকে তারা জামিন চেয়ে নিয়মিত আপিল আবেদন করেন। আজ (মঙ্গলবার) শুনানি শেষে এই দুইজনকে জামিন কেন দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে, আগামী সাত দিনের মধ্যে বাকি ১৫ আসামিকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি এই ১৫ জন যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারেন সেজন্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
এফএইচ/জেডএইচ/কেএসআর/এমএস