প্রশ্নফাঁস: জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা রকিবকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
জনতা ব্যাংকের শিক্ষানবিশ কর্মকর্তা (বরখাস্ত) রকিবুল হাসানকে বিচারিক (নিম্ন) আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। প্রশ্নপত্র ফাঁস করে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যাংক হিসাবে জমা, অর্থের স্থানান্তর ও রূপান্তরের অভিযোগে সিআইডির করা মামলায় এ নির্দেশ দেন আদালত।
সোমবার (২২ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে রকিবকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন আদালত।
আদালতে আজ আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী লিটন দত্ত। দুদকের পক্ষে ছিলেন মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি ও মো. সাইফুর রহমান সিদ্দিকী সাইফ।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, এজাহার মতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে অবৈধভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগপ্রার্থীদের নিয়োগের মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ করা অপরাধ। এভাবে অর্জিত অপরাধলব্ধ আয় থেকে সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্যদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বিনিয়োগ করে আসামি মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধ করেছেন। এ অপরাধে সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মো. শাহীনুল ইসলাম গত ১৯ সেপ্টেম্বর বাড্ডা থানার একটি মামলা করেন।
মামলায় মোট আসামি তিনজন। তারা হলেন, মানিক কুমার প্রামাণিক, মফিজুর রহমান ও রকিবুল হাসান। এদের মধ্যে রকিবুল হাসানের নামে ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া যায়।
আমিন উদ্দিন মানিক আরও বলেন, রকিবুল হাসান ও আরেক আসামি মানিক কুমার প্রামাণিক সংঘবদ্ধভাবে আনুমানিক ২০০৯ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এ ধরনের অপরাধ করেছেন। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন সরকারি নিয়োগ প্রতিষ্ঠানে ভর্তি ও নিয়োগের মাধ্যমে নয় কোটি টাকা গ্রহণ করার মাধ্যমে মানিলন্ডারিং আইনে অপরাধ করেছেন।
এফএইচ/কেএসআর