নদী ভরাট: পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিজির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৫১ পিএম, ২১ নভেম্বর ২০২১

নির্দেশের পরও সাভারের বংশী নদী দূষণ ও অবৈধ দখলদারদের বিষয়ে প্রতিবেদন না দেওয়ায় পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকার জেলা প্রশাসক, সাভারের সহকারী ভূমি কমিশনার এবং সাভার থানার ওসির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে জারি করা রুলে। সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার (২১ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুলি জারি করেন।

২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘দখল-দূষণে শেষ বংশী নদী’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ৬৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান গিলে খাচ্ছে রাজধানীর উপকণ্ঠের সাভারের বংশী নদী। এ নদীর বিরাট এলাকা প্রভাবশালীদের দখলে থাকলেও উদ্ধারে উদ্যোগ নেই। নদীর মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে দেদারছে। এসব কারণে ভালো নেই সাভার উপজেলার ৪০ থেকে ৪২ লাখ বাসিন্দা।

পরে ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট করেন সাভারের স্থানীয় বাসিন্দা ব্যারিস্টার মো. বাকির হোসেন।

ওই রিটের প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ২ ডিসেম্বর রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট। আদেশে বংশী নদীর দূষণ বন্ধ এবং ৩০ দিনের মধ্যে দূষণ ও দখলদারদের বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড (ওয়াপদা), রাজউক, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকার জেলা প্রশাসক, সাভারের নির্বাহী অফিসার, সাভারের ভূমি কর্মকর্তা, ঢাকা জেলার এসপি ও সাভার থানার ওসিকে ওই প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন আদালত।

দীর্ঘ দুই বছরেও ওই প্রতিবেদন না দেওয়ায় বিষয়টি রোববার আদালতের নজরে আনেন রিট আবেদনকারী আইনজীবী বাকির হোসেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট আদালত অবমাননার রুল জারি করেন।

এফএইচ/ইএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।