সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি গঠনে নিষেধাজ্ঞার আবেদন, শুনানি ২ নভেম্বর
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে আইন প্রণয়নের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে ২০১৭ সালে হাইকোর্ট একটি রুল জারি করেছিলেন। ওই রুল পেন্ডিং থাকা অবস্থায় হাইকোর্টে আরও একটি রিট আবেদন করা হয়েছে। ওই বছরের ১১ জানুয়ারি এ বিষয়ে রিট করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। ওই রিটের শুনানি নিয়ে একই মাসের ৩০ জানুয়ারি রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। এর প্রায় চার বছর পর এসে আবারও একই দাবিতে গত ১৩ অক্টোবর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করলেন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব অ্যাডভোকেট মো. ইয়ারুল ইসলাম।
পৃথক দুই রিটের বিষয়ে দেশের উচ্চ আদালত হাইকোর্টের শুনানির জন্য রয়েছে। এরই মধ্যে হাইকোর্টের রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সার্চ কমিটির মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে সোমবার (২৫ অক্টোবর) সম্পূরক আবেদন করেছেন রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) নির্ধারিত দিনে শুনানি না করে আদালত আগামী মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন বলে জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন রিট আবেদনকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ শুনানির জন্য এ দিন ঠিক করে আদেশ দেন।
রিট আবেদনকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ২০১৭ সালের ১১ জানুয়ারি সংবিধান অনুসারে ইসি গঠনে আইন প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে রিট করেছিলাম। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ৩০ জানুয়ারি হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ রুল দেন। রুলে সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুসারে নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন বা বিধান প্রণয়ন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট পক্ষ এখনও ওই রুলের জবাব দেননি। এ কারণে কিছুদিন আগে একটি সম্পূরক আবেদন করা হয়। মঙ্গলবার ওই আবেদনের ওপরে শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এ সংক্রান্ত আরও একটি আবেদন থাকায় আগামী ২ নভেম্বর শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
অন্যদিকে, অপর একটি হাইকোর্ট বেঞ্চ সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুসারে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়নের মাধ্যমে পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের ওপর আগামী রোববার (৩১ অক্টোবর) শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। রিট শুনানির নির্ধারিত দিন রোববার (২৪ অক্টোবর) রাষ্ট্রপক্ষের সময়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আগামী রোববার শুনানির জন্য দিন ঠিক করেন।
বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রস্তাবিত ‘নির্বাচন কমিশন আইন-২০২১’ খসড়ার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠাসংক্রান্ত সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুসারে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়নের মাধ্যমে পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইয়ারুল ইসলাম ওই রিট করেন।
রিটে আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনধিক চার নির্বাচন কমিশনারকে নিয়ে বাংলাদেশের একটি নির্বাচন কমিশন থাকবে এবং ওই বিষয়ে প্রণীত কোনো আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ দেবেন।
রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব ও বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
এফএইচ/এমএএইচ/এএসএম