সাখাওয়াতসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ ৩১ জানুয়ারি


প্রকাশিত: ০৬:৩৫ এএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫

একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যশোর-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাখাওয়াত হোসেনসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেছেন ট্রাইব্যুনাল। আগামী ৩১ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে (ওপেনিং স্টেটমেন্ট) সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য দিন ঠিক করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই দিন তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণের জন্য দিন ঠিক করা হয়েছে।

বুধবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।

ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম ও রেজিয়া সুলতানা চমন। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন আব্দুস শুক্কুর খান এবং আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।

সাখাওয়াত হোসেন ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- মো. বিল্লাল হোসেন, মো. ইব্রাহিম হোসেন, শেখ মোহাম্মদ মুজিবর রহমান, মো. আব্দুল আজিজ সরদার, মো. আজিজ সরদার, কাজী ওয়াহেদুল ইসলাম, মো. লুৎফর মোড়ল এবং মো. আব্দুল খালেক মোড়ল।

আসামিদের মধ্যে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন সাখাওয়াত হোসেন, মো. বিল্লাল হোসেন ও মো. লুৎফর মোড়ল। বাকি ছয়জন পলাতক রয়েছেন বলে জানায় প্রসিকিউটর। ১২ আসামির মধ্যে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন মো. আকরাম হোসেন, অজিহার মোড়ল ওরফে ওজিয়ার মোড়ল ও মশিয়ার রহমান।

এর আগে গত ২৪ নভেম্বর অভিযোগ গঠনের পক্ষে ও বিপক্ষে রাষ্ট্র ও আসামি উভয় পক্ষের শুনানি শেষ করা হয়। পরে অভিযোগ গঠনের আদেশের জন্য আজ (বুধবার) দিন ধার্য করেন আদালত।

এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। মোট ১২ আসামির মধ্যে বাকি তিনজনের সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় তাদেরকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

গত ১৬ জুন সাখাওয়াতসহ আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন। এর আগে আদালত ৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আত্মসমর্পণের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন।

২০১২ সালের ১ এপ্রিল থেকে এ মামলায় তদন্ত শুরু করে গত ১৪ জুন শেষ করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক খান। মুক্তিযোদ্ধাসহ ৩২ জনকে এ মামলার সাক্ষী করা হয়েছে।

১৯৯১ সালে জামায়াতের পক্ষে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে যশোর-৬ আসন থেকে শাখাওয়াত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। কিন্তু মেয়াদপূর্তির আগেই জামায়াত ছেড়ে বিএনপিতে যোগ দেন। মাওলানা সাখাওয়াত গত সংসদ নির্বাচনে যশোর-৬ আসন থেকে তিনি জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন।

আসামিদের বিরুদ্ধে আনা পাঁচ অভিযোগ:

অভিযোগ ১: যশোরের কেশবপুর উপজেলার বোগা গ্রামে এক নারীকে অপহরণ, আটক, নির্যাতন এবং ধর্ষণ।

অভিযোগ ২: একই উপজেলার চিংড়া গ্রামের চাঁদতুল্য গাজী ও তার ছেলে আতিয়ারকে অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও হত্যা।

অভিযোগ ৩: কেশবপুরের চিংড়া গ্রামের মো. নুরুদ্দিন মোড়লকে অপহরণ, আটক, নির্যাতন।

অভিযোগ ৪: কেশবপুরের হিজলডাঙার আব্দুল মালেক সরদারকে অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও খুন।

অভিযোগ ৫: কেশবপুরের মহাদেবপুর গ্রামের মিরন শেখকে অপহরণ, আটক, নির্যাতন এবং ওই গ্রামে অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠন।

এফএইচ/জেডএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।