পল্লবীতে তিন কলেজছাত্রী ‘নিখোঁজ’: একজন রিমান্ডে
রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী থেকে তিন কলেজছাত্রী ‘নিখোঁজের’ ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার মো. রকিবুল্লাহর (২০) দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অন্যদিকে আসামি মো. তরিকুল্লাহ (১৯), জিনিয়া ওরফে টিকটক জিনিয়া রোজ (১৮) ও শরফুদ্দিন আহম্মেদ অয়নকে (১৮) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার (৩ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর হাকিম মাহমুদা বেগম শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
তাদের চারজনকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর পল্লবী থানায় মানবপাচার আইনে করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের সাতদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
শনিবার (২ অক্টোবর) রাতে নিখোঁজ শিক্ষার্থী দিলখুশ জান্নাত নিশার বড় বোন অ্যাডভোকেট কাজী রওশন দিল আফরোজ বাদী হয়ে পল্লবী থানায় মামলাটি করেন।
গ্রেফতার ওই চারজন ছাড়া অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নিখোঁজ কাজী দিলখুশ জান্নাত নিশা (১৬) পল্লবী থানার সেকশন-১১, ব্লক-সি, ১৮ নম্বর রোডের মায়ের সঙ্গে বসবাস করতো। সে মিরপুর গার্লস আইডিয়াল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। লেখাপড়ার সুবাদে এক নম্বর আসামি তরিকুল্লাহ, রাকিকুল্লাহ, জিনিয়া ওরফে টিকটক জিনিয়া রোজ ও শরিফুদ্দিন আহম্মেদ অয়নসহ দিলখুশের বান্ধবী লেহা আক্তার (১৭) ও কানিজ ফাতেমার (১৮) সঙ্গে পরিচয় হয়।
এতে আরও বলা হয়, তিন নম্বর আসামি জিনিয়া প্রায় সময় দিলখুশের বাসায় আসা-যাওয়া করতো এবং প্রায় সময় তরিকুল্লাহ ও জিনিয়া বাসায় এসে নিশাকে ঘোরাফেরার জন্য বাইরে নিয়ে যেতো। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর সকালের দিকে দিলখুশ বাসা থেকে বের হয়।
এজাহারে বলা হয়, নিখোঁজের পর তার পরিবারের সদস্যরা খোঁজ করে দেখতে পান, আলমারির ভেতরে রাখা নগদ ছয় লাখ টাকা, স্বর্ণের গয়না, স্কুল সার্টিফিকেট ও জন্ম নিবন্ধনপত্র নেই। তার বান্ধবী নেহা আক্তারের বাবা জানান, বাসা থেকে তার মেয়ে নগদ ৭৫ হাজার টাকা, সার্টিফিকেট ও জন্ম নিবন্ধনপত্র নিয়ে গেছে। এছাড়া কানিজ ফাতেমার বাবা জানান, বাসা থেকে তার মেয়েও আড়াই ভরি স্বর্ণের গয়না, স্কুল সার্টিফিকেট ও জন্ম নিবন্ধনপত্র নিয়ে গেছে।
পরিবারের দাবি, তাদের প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশে পাচারের জন্য বাসা থেকে টাকা ও গয়না নিয়ে বের হতে বলেছে একটি চক্র। ফলে তিন ছাত্রীকে পাচারের শঙ্কার কথা জানিয়েছেন তারা।
জেএ/এমএইচআর/জেআইএম