রায় শুনে কান্নায় ভেঙে পড়ে মালেকের পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৫১ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১

অস্ত্র আইনে করা মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক আবদুল মালেক ওরফে বাদলের ১৫ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রায় ঘোষণার পর আদালতের বারান্দায় কান্নায় ভেঙে পড়েন মালেকের পরিবারের সদস্যরা। তারা বলেন, মিডিয়ায় দেখানো হলো মালেকের কোটি কোটি টাকা। কিন্তু এ টাকা গেলো কোথায়?

সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রবিউল আলম মালেকের সাজার রায় ঘোষণা করেন। অস্ত্র আইনের এক ধারায় ১৫ বছর ও আরেক ধারায় তাকে ১৫ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। তবে দুই ধারায় সাজা একসঙ্গে চলবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।

রায় ঘোষণার পর আদালত প্রাঙ্গণে মালেকের মা আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, আমার ছেলে নির্দোষ। তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।

মালেকের স্ত্রী বলেন, তাকে যখন আটক করা হয়েছিল তখন তার কাছে কিছু পাওয়া যায়নি। পরে তাকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে।

jagonews24

মালেকের ছেলে, মেয়ে ও বোন বলেন, তিনি নির্দোষ। মিডিয়া তাকে ফাঁসিয়েছে। তাকে আটকের সময় দেখানো হয়েছে কোটি টাকা। এ টাকা গেলো কোথায়?

এদিন রায় ঘোষণার পর মালেক বলেন, আমাকে যখন গ্রেফতার করা হয়েছিল, তখন আমার কাছে কিছু পায়নি। এরপর আমাকে নিয়ে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানো হলো। আজ আমাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হলো। মিথ্যা মামলায় আমাকে সাজা ভোগ করতে হচ্ছে।

রায় ঘোষণার আগে কারাগার থেকে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর আবার তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

jagonews24

এর আগে সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রবিউল আলম রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। আলোচিত এ মামলায় ১৩ সাক্ষীর সবার সাক্ষ্যই নিয়েছেন আদালত।

২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে আবদুল মালেককে গ্রেফতার করে র‌্যাব-১। সেসময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ টাকার বাংলাদেশি জাল নোট, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

এ ঘটনায় র‌্যাব-১ এর পুলিশ পরিদর্শক আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন।

গত ১১ জানুয়ারি অস্ত্র আইনের মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব-১ এর উপ-পরিদর্শক মেহেদী হাসান চৌধুরী ১৩ জনকে সাক্ষী করে মালেকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আদালত মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। গত ৪ এপ্রিল মালেকের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

জেএ/ইএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।