পাসপোর্ট চেয়ে সাংবাদিক রোজিনার আবেদন, শুনানি রোববার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৫৭ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনে করা মামলায় পাসপোর্ট জমা শর্তে জামিন পাওয়া দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলাম তার পাসপোর্ট ও জব্দ হওয়া জিনিসপত্র চেয়ে আবেদন করেছেন।

বুধবার (১৫ সেপ্টম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে এ আবেদন করেন তার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার। এরপর আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী রোববার (১৯ সেপ্টম্বর) দিন ধার্য করেন।

রোজিনার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ২৩ মে অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনে করা মামলায় রোজিনা ইসলামের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম বাকি বিল্লাহ।

বিচারক জামিন আদেশে বলেন, পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় তার অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করা হলো। এছাড়া তাকে পাসপোর্ট জমা দিতে হবে। গণমাধ্যম ও বিচারবিভাগ একে অপরের পরিপূরক। প্রত্যেকের অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ও সহনশীল আচরণ করবেন এমন প্রত্যাশা করছি।

গত ২০ মে ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লার ভার্চুয়াল আদালতে সাংবাদিক রোজিনার জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন রোজিনার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এহসানুল হক সমাজি, আমিনুল গনি টিটু, জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, প্রশান্ত কুমার কর্মকার ও আশরাফুল আলম। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন হেমায়েত উদ্দিন হিরন।

আদালত শুনানি শেষে রাষ্ট্রপক্ষের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন ও জামিন বিষয়ে আদেশের জন্য ২৩ মে দিন ধার্য করেন।

এর আগে ১৮ মে রোজিনা ইসলামকে আদালতে হাজির করে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। অন্যদিকে তার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে তার জামিন শুনানির জন্য ২০ মে দিন ধার্য করেন।

এরপর রোজিনার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার তার চিকিৎসার জন্য আবেদন করেন। আদালত কারাবিধি অনুযায়ী তার চিকিৎসার জন্য নির্দেশ দেন। এরপর প্রিজনভ্যানে তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে গত ১৭ মে রাতে শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাটি করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপ-সচিব ডা. মো. শিব্বির আহমেদ উসমানী।

সচিবালয়ে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখার পর ওই দিন রাত ৯টার দিকে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে শাহবাগ থানায় আনা হয়। তার বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়া মোবাইল ফোনে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ নথির ছবি তোলা এবং আরও কিছু নথি লুকিয়ে রাখার অভিযোগ আনে মন্ত্রণালয়।

জেএ/ইএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।