ফের রিমান্ডে ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়ার স্বামীসহ দুজন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৪৮ পিএম, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জ শপের মালিক সোনিয়া মেহজাবিনের স্বামী মাসুকুর রহমানসহ দুজনের দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অপরজন হলেন প্রতিষ্ঠানটির চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) আমান উল্লাহ। গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

বুধবার (৮ সেপ্টম্বর) তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর কোতয়ালী থানায় করা প্রতারণার মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ প্রত্যেকের দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

কোতয়ালী থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে প্রতিষ্ঠানটির মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান ও প্রতিষ্ঠানটির সিওও আমান উল্লাহকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ।

এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে গত ২৩ আগস্ট মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সোনিয়া দম্পতিসহ তিনজনের ১০ দিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া প্রত্যেকের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ১৬ আগস্ট ই-অরেঞ্জ শপের বিরুদ্ধে এক হাজার ১০০ কোটি টাকা প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেন তাহেরুল ইসলাম নামে এক ভুক্তভোগী। মামলায় তিনি ই-অরেঞ্জের পাঁচ কর্মকর্তাসহ সব মালিককে আসামি করেন। এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য রয়েছে।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ২৮ এপ্রিল থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের পণ্য কেনার জন্য টাকা দেওয়া হয়, যা একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের পর ই-অরেঞ্জ কোম্পানির ডেলিভারি দেওয়ার কথা ছিল। এ শর্তেও বারবার নোটিশের নামে ভুক্তভোগীদের পণ্য ডেলিভারি না করে প্রতারণা করে যাচ্ছে।

ভুক্তভোগীরা ই-অরেঞ্জ অফিসে গিয়ে ডেলিভারি দেওয়ার কথা বললে কর্মরত কর্মকর্তা ও মালিকপক্ষ জানান, কিছুদিনের মধ্যে পণ্যগুলো ডেলিভারি হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো পণ্য ডেলিভারি না করে এক লাখ ভুক্তভোগীর প্রায় এক হাজার একশ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।’

মামলায় আরও বলা হয়, করোনাকালে ভুক্তভোগীদের কষ্টার্জিত অর্থের নিশ্চয়তা না দিয়ে ই-অরেঞ্জ তাদের মালিকানা পরিবর্তনের নামে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করছে। নতুন মালিক ও পুরোনো মালিকের কোনো তথ্য ভুক্তভোগীদের সামনে প্রকাশ করা হচ্ছে না। এছাড়া আসামিরা সব ধরনের দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ করে গা ঢাকা দিয়েছেন বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।

এর আগে ই-অরেঞ্জ শপের বিরুদ্ধে অর্ডার নিয়ে পণ্য ডেলিভারি না দেওয়ার অভিযোগে ১৬ আগস্ট রাজধানীর গুলশানে বিক্ষোভ করেন ভুক্তভোগীরা। সেই টাকা ও পণ্যের দাবিতে মিরপুরে মাশরাফি বিন মর্তুজার বাসার সামনেও বিক্ষোভ করেন তারা।

ওই সময় মাশরাফি বলেন, ‘ই-অরেঞ্জের সঙ্গে আমার ছয়মাসের চুক্তি ছিল। সেটা শেষ হয়েছে। আমি এখন এটির সঙ্গে নেই। তবুও একজন গ্রাহক বলছেন, তাদের পাশে আমাকে থাকতে হবে। আইনগত জায়গায় খুব বেশি কিছু করার নেই। তবুও সাধারণ মানুষের কারণে কথা বলেছি। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, তাদের পাশে দাঁড়াব।’

জেএ/এএএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।