নর্থ সাউথের প্রভাষক হত্যা: দুজনের মৃত্যুদণ্ড থেকে যাবজ্জীবন
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক দেওয়ান রাহাত করিম মুকুল হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মলম পার্টির দুই সদস্য মোশারফ হোসেন ও লিটন মল্লিকের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সেই সঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মুক্তার হোসেন ও জাহাঙ্গীর হোসেনের কোনো আবেদন না থাকায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেননি আদালত।
আসামি মোশারফ হোসেন ও লিটন মল্লিকের মৃত্যুদণ্ডের সাজার বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি নিয়ে বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও এবিএম বায়েজীদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।
২০০৯ সালের ২৯ জুলাই ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ মলম পার্টির সদস্য মোশারফ হোসেন ও লিটন মল্লিককে মৃত্যুদণ্ড এবং মুক্তার হোসেন, জাহাঙ্গীর ও সিএনজিচালক আলালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। বিচারিক আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে ডেথ রেফারেন্স ও কারাবন্দি আসামিদের আপিল শুনানি শেষে হাইকোর্ট চারজনের সাজা বহাল রেখে ২০১৫ সালের ১৫ জানুয়ারি রায় দেন। রায়ে সিএনজিচালক আলালকে খালাস দেওয়া হয়। এরপর এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন মোশারফ ও লিটন। আপিলের ওপর শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ আজ রায় দেন।
২০০৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে বিমানবন্দর সড়কের (আর্মি স্টেডিয়াম) পাশের এলাকা থেকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক দেওয়ান রাহাত করিম মুকুলকে অজ্ঞান ও আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ভর্তি করা হয়। ওই রাতেই মুকুল মারা যান। পরদিন পুলিশ গুলশান থানায় মামলা করে।
ঘটনার কয়েকদিন পর সিএনজিচালক আলালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ওই বছরের ২ অক্টোবর পুলিশ মোশারফ হোসেনকে গ্রেফতার করে। এরপর জাহাঙ্গীর হোসেন ও মুক্তার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। চারজনই রাহাত করিমকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন।
তদন্ত শেষে পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ২৫ এপ্রিল অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এ মামলার অপর আসামি লিটন মল্লিক নিম্ন আদালতে রায়ের সময় পলাতক ছিলেন। রায়ের পর আত্মসমর্পণ করে নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন তিনি।
এফএইচ/ইউএইচ/এমআরএম/এএসএম