পদ্মা সেতু হয়, পিসিআর ল্যাব কেন নয়: প্রশ্ন ব্যারিস্টার সুমনের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:২৩ এএম, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২১

কোভিড-১৯ পরীক্ষা এবং দুবাইয়ের বিদেশি শ্রমিক ও যাত্রীদের বিষয়ে মুখ খুললেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

তিনি বলেছেন, ‘আমরা যখন বিশ্বব্যাংককে চ্যালেঞ্জ করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু বানাতে পারছি, সেখানে বিমানবন্দরে একটা র‌্যাপিড পিসিআর ল্যাব বসাতে পারছি না? আমার মনে হয় এর চেয়ে দুর্ভাগ্য আর হতে পারে না।’

মাওয়া হাইওয়েতে দাঁড়িয়ে করা একটি ভিডিও সোমবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে নিজের ফেসবুক পেজে আপলোড করেন ব্যারিস্টার সুমন। সেখানে তিনি বিদেশফেরত প্রবাসীদের করোনা পরীক্ষার জন্য বিমানবন্দরে র‌্যাপিড পিসিআর ল্যাব বসানোর দাবি জানান।

ফেসবুক লাইভে সুমন বলেন, ‘আপনারা হয়তো একটা নিউজ ফলো করেছেন যে, ৬ ঘণ্টার মধ্যে করোনা টেস্ট না করলে কেউ দুবাই যেতে পারবে না। এর জন্য বিমানবন্দরে একটা র‌্যাপিড পিসিআর ল্যাব দরকার। এই ল্যাব না থাকার কারণে ৭ হাজার প্রবাসী দুবাই যেতে পারছেন না। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দুবাই যেতে না পারলে কোনোভাবেই তাদের চাকরি থাকবে না।’

তিনি জানান, ভারত, শ্রীলঙ্কাসহ অন্যান্য দেশ বিমানবন্দরে র‌্যাপিড পিসিআর ল্যাব স্থাপন করেছে। সে দেশের মানুষ বিমানবন্দরে করোনা টেস্ট করে বিমানে উঠতে পারেন। একমাত্র বাংলাদেশেই এটা সম্ভব হয় না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক জানিয়েছেন, এক মাসের আগে বিমানবন্দরে র‌্যাপিড পিসিআর ল্যাব বসানো সম্ভব না।

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘আমার প্রশ্ন হলো- স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় কি জানতো না, বিশ্বে করোনা-পরবর্তী পরিস্থিতির কারণে আমাদের বিমানবন্দরে র‌্যাপিড পিসিআর ল্যাব প্রয়োজন? আজকে দুবাই, পরবর্তীতে অন্যান্য দেশও বলবে র‌্যাপিড টেস্ট না করলে আমরা আমাদের দেশে আসতে দেবো না। তখন আমরা কী করব? আমাদের তো এমন সক্ষমতা নেই যে প্রবাসে না গেলেও চলবে। আমাদের তো প্রবাসীদের টাকা ছাড়া চলাই সম্ভব না।’

করোনার র‌্যাপিড টেস্টের অভাবে সাত হাজার প্রবাসী দুবাই যেতে না পারলে তাদের পরিবার ধ্বংস হয়ে যাবে বলেও ওই ফেসবুক লাইভে উল্লেখ করেন ব্যারিস্টার সুমন।

এফএইচ/এমকেআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।