ইনকিলাব সম্পাদকের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা স্থগিত
মানহানির অভিযোগে ইনকিলাব পত্রিকার সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীনের বিরুদ্ধে মাদারীপুরে দায়ের করা এক মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের জন্য এই মামলার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে দায়ের করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (২৩ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আজ আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তিনি আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে জানিয়েছেন।
এর আগে ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট মাদারীপুরে দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার সম্পাদকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা হয়। সাবেক নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের মেয়েকে নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে মাদারীপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন মাদারীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- কাদেরিয়া পাবলিকেশন্স অ্যান্ড প্রোডাক্টস লিমিটেডের পরিচালক আব্দুল কাদের ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, যার নাম মামলায় উল্লেখ করা হয়নি। আদালতের বিচারক মোহাম্মদ হোসেন মামলাটি গ্রহণ করে আসামিদের প্রতি সমন জারি করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি শাজাহান খানের একমাত্র মেয়ে ঐশী লন্ডন থেকে ছুটিতে বাংলাদেশে আসেন। করোনার কারণে তিনি আর লন্ডন যেতে পারেননি। ২৬ জুলাই যাওয়ার কথা ছিল তার। এর দুই দিন আগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আইসোলেশন সেন্টারে নিজের করোনা পরীক্ষা করান তিনি।
একদিন পর নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু ইমিগ্রেশনে যাচাইয়ের সময় অনলাইনে তাকে করোনা পজিটিভ হিসেবে দেখানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৭ জুলাই শাজাহান খান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গিয়ে এই ঘটনার ব্যাখ্যা চান। পরে সংবাদ সম্মেলনে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারের পরিচালক ভুলের দায় স্বীকার করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, তাদের ডেটা অপারেটরের ভুলের কারণে এই সমস্যা হয়েছে। যার জন্য শাজাহান খান বা তার মেয়ে মোটেও দায়ী নন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাহাউদ্দীন ২৮ জুলাই তার পত্রিকার সম্পাদকীয়তে শাজাহান খানের বিরুদ্ধে ‘করোনাভাইরাস সনদ জালিয়াতির’ অভিযোগ তোলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনজনের বিরুদ্ধে এই মানহানির মামলা করা হয়।
এফএইচ/এমএইচআর