বাবা কর্তৃক ধর্ষণ : মেয়েকে উদ্ধার ও ব্যবস্থা নিতে লিগ্যাল নোটিশ
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মাগুড়াবিনোদ ইউনিয়নে নিজ বাবার ধর্ষণের শিকার মেয়েকে উদ্ধার ও অভিযুক্ত বাবা দবির উদ্দিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল (আইনি) নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে বিবাদী করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি), রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি ও অতিরিক্ত ডিআইজি, সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি)।
বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিবেক চন্দ্র এ নোটিশ পাঠান। নোটিশ পাওয়ার তিনদিনের মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে আইনি প্রতীকার চেয়ে রিট আবেদন করা হয়।
নোটিশে বলা হয়, গত ১৬ আগস্ট ‘মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আমাদের ধর্ষণ করতো বাবা’ শিরোনামে একটি দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদে জানানো হয়, তখন সে ১০-১২ বছরের শিশু। তার বাবা দবির উদ্দিন (৪২) তাকে ধর্ষণ করতে থাকেন।
এভাবে কেটে যায় দীর্ঘ সাড়ে চার বছর। মেয়েটির বিয়ের পর তার বাবার বিকৃত যৌন লালসা থেকে রক্ষা পায়। তারা দুই বোন। এখন তার যে বোনটি বাড়িতে আছে, সে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। তার বয়সও ১০-১২ বছর হবে। সেই মেয়েটিকেও নির্মম যৌন নির্যাতন করা ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তার বাবা দবির উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
গত কোরবানির ঈদের ৪-৫ দিন আগে দবির উদ্দিন দিনের বেলায় তার ছোট মেয়েকে ধর্ষণ করার জন্য নির্যাতন করতে থাকেন। মেয়েটি ভয়ে ও আতংকে কাঁদতে শুরু করে। তখন তার বাবা তার বড় বোনের স্বামীর মোবাইলে ফোন দেয়। শেষ পর্যন্ত কলরেকর্ড ধরেই প্রকাশ পায় নিজ বাবা কর্তৃক দুই শিশুকন্যাকে পৈশাচিক যৌন নির্যাতনের লোম হর্ষক তথ্য।
এদিকে এ ঘটনার জেরে দবির উদ্দিনের পরিবারকে সমাজচ্যুত করে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাগুড়াবিনোদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক আতিকুল ইসলাম বুলবুল।
এফএইচ/বিএ/এমএস