হেলেনা জাহাঙ্গীরের দায় স্বীকার
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলায় দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া আলোচিত ব্যক্তি হেলেনা জাহাঙ্গীর।
বুধবার (১৮ আগস্ট) তিনদিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় হেলেনা জাহাঙ্গীর স্বেচ্ছায় দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। পরে তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মণ্ডল তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
অন্যদিকে ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিমের আদালতে হেলেনা জাহাঙ্গীরের আইনজীবী প্রতারণার মামলায় জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার আবেদন নামঞ্জুর করেন।
এর আগে মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) পল্লবী থানার পর্নোগ্রাফি আইনে করা মামলায় হেলেনা জাহাঙ্গীরের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমান তার জামিন মঞ্জুর করেন।
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত পৃথক চার মামলায় শুনানি শেষে তার ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তিনদিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর রাজধানীর পল্লবী থানার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে সাতদিন ও একই থানায় করা প্রতারণার আরেক মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। অপরদিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমান জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চারদিন ও প্রতারণার মামলায় চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এরপর গুলশান থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য হেলেনাকে আবারও ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। এছাড়াও গুলশান থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনের আরেক মামলায় তাকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়।
অপরদিকে রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসি হেলেনা জাহাঙ্গীরের জামিন নামঞ্জুর করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তিনদিন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে ২৯ জুলাই রাত ১২টার দিকে হেলেনা জাহাঙ্গীরের গুলশানের ৩৬ নম্বর রোডের ৫ নম্বর বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। প্রায় চার ঘণ্টা অভিযান শেষে তাকে আটক করে র্যাব। এ সময় তার বাসা থেকে বিদেশি মদ, অবৈধ ওয়াকিটকি সেট, চাকু, বৈদেশিক মুদ্রা, ক্যাসিনো সরঞ্জাম ও হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়।
এরপর ৩০ জুলাই সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় গুলশান থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পরিদর্শক (অপারেশন) শেখ শাহানুর রহমান।
অপরদিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জেএ/জেডএইচ/এএসএম