পৌর নির্বাচনে সেনা মোতায়েনে ইসিকে উকিল নোটিশ


প্রকাশিত: ০৯:৫৮ এএম, ১০ ডিসেম্বর ২০১৫

আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ বজায় রাখতে সেনা মোতায়েনের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে বলা হয়, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত না নিলে হাইকোর্টে রিট করা হবে।

সর্বসাধারণের পক্ষে বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জুলফিকার আলী জুনু ডাকযোগে ও ফ্যাক্সের মাধ্যমে এই নোটিশ পাঠান বলে জানিয়েছেন আইনজীবী নিজে।

নোটিশে সরকারদলীয় সাংসদদের নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগও আনা হয়েছে। সেইসঙ্গে নোটিশ পাওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এ ব্যাপারে মিডিয়ার মাধ্যমে পুরো জাতিকে সিদ্ধান্ত জানানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য পৌর নিার্বচনে সকল প্রার্থীদের সমান প্রচারণার সুযোগ করে দেয়ার উদ্দেশ্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি, আচরণবিধি ভঙ্গে সাংসদদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট এলাকায় সেনা মোতায়েনের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

জুলফিকার আলী জুনু বলেন, গত ১০ ডিসেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত ‘অসহায় নির্বাচন কমিশন’ শিরোনামের একটি প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ লিগ্যাল নোটিশটি পাঠিয়েছেন তিনি। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত না জানালে সংবিধানের ১০২ ধারা মোতাবেক হাইকোর্টে রিট মামলা করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সেনাবাহিনী মোতায়েন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশে এই প্রথম পৌর নির্বাচন হচ্ছে দলীয় প্রতীকে। এ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিবন্ধনকৃত দলগুলো (বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল) তাদের প্রতীক নিয়ে এবারের পৌর নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। সেক্ষেত্রে যদি নির্বাচন কমিশন অসহায় থাকে তাহলে সরকার দলীয় এমপি মন্ত্রীদের নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে কাল্পনিক, অসম্ভব। ফলে দেশের জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষা করতে নির্বাচনে সেনা মোতায়েন প্রয়োজন।  

নোটিশে সরকার দলীয় সাংসদ কর্তৃক নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগও আনা হয়েছে। সেই সঙ্গে নোটিশ পাওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এ ব্যাপারে মিডিয়ার মাধ্যমে পুরো জাতিকে সিদ্ধান্ত জানানোর অনুরোধ জানান।

সেনাবাহিনী মোতায়েন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশে এই প্রথম পৌর নির্বাচন হচ্ছে দলীয় প্রতীকে। এ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিবন্ধনকৃত দলগুলো (বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল) তাদের প্রতীক নিয়ে এবারের পৌর নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। সে ক্ষেত্রে যদি নির্বাচন কমিশন অসহায় থাকে তাহলে সরকার দলীয় এমপি-মন্ত্রীদের নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে কাল্পনিক, অসম্ভব। ফলে দেশের জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষা করতে নির্বাচনে সেনা মোতায়েন প্রয়োজন।

এফএইচ/এসএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।