খালাস পাবেন নিজামী : খন্দকার মাহবুব


প্রকাশিত: ০৪:৫১ এএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০১৫
ফাইল ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী চূড়ান্ত রায়ে খালাস পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন তার প্রধান আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। মঙ্গলবার আদালত কর্তৃক চূড়ান্ত রায়ের তারিখ নির্ধারণের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আদালতের কাছে যে যুক্তি উপস্থাপন করেছি তাতে আশা করি ন্যায়বিচার পাবো এবং আসামি খালাস পাবেন। আর যদি ধরে নেওয়া হয় তিনি সহযোগি ছিলেন তাহলেও তাকে যেন লঘু দণ্ড দেওয়া হয়।

তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ গতকাল (সোমবার) আপিলের বিরুদ্ধে যে যুক্তি উপস্থাপন করেছে আজ আমি তার জবাব দিয়েছি।  

খন্দকার মাহবুব বলেন, পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত তৎকালীন সময়ে নিজামী সাহেবের কিছু বক্তব্য তুলে ধরে প্রসিকিউশন বলতে চেয়েছেন তিনি ইনস্টিগেশন (উস্কানি) করেছেন। সে কারণে সে দোষী। আমরা বলেছি, সংগ্রাম পত্রিকায় যতগুলো বক্তব্য এসেছে সবগুলো ট্রাইব্যুনাল বিবেচনা করেছেন। ট্রাইব্যুনাল ওইসব চার্জে তাকে খালাস দিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, আদালত বলেছেন অ্যাবেটমেন্ট এর কথা। আমি বলেছি অ্যাবেটমেন্টের ঘটনা স্পেসেফিক করতে হবে। কোন অপরাধের বিষয়ে উস্কানি দিয়েছেন। যে ঘটনাগুলোর কথা উল্লেখ করেছেন সেগুলো পাকিস্তানি আর্মিরা করেছে। প্রসিকিউশন থেকে সাক্ষী এসেছিলো-নিজামী সাহেব সঙ্গে ছিলেন। প্রধান আসামি হচ্ছে পাকিস্তানি আর্মি। এখানে প্রধান আসামির বিচার হচ্ছে না। তখন অ্যাবেটর হিসেবে তার বিচার কতটুকু সমীচীন। এবং সেখানে আমাদের অ্যাবিলিটি অর্থাৎ পাকিস্তানি আর্মির সঙ্গে আমাদের কন্ট্রোল কতটুকু।

বুদ্ধিজীবী ড. আলীম ও ড. আজহারুলের বিষয়ে তিনি বলেন, কথিত মতে তাদেরকে আল বদররা ধরে নিয়ে গিয়েছিলো। আমরা সেখানে বলেছি ড. আলীমের স্ত্রী আদালতে সাক্ষী দিয়েছিলো, আজহারের পক্ষেও সাক্ষী দেয়া হয়েছে। কিন্তু আলীমের স্ত্রী একটি বই লিখেছিলো। আজকে আদালতে এসে তিনি বলেছেন, নিজামী সাহেবের নির্দেশে আল বদররা আলীমকে তুলে নিয়ে গেছে। ওনার বইতে এই ধরণের ঘটনা উল্লেখ ছিলো না। দুইটা বই। কোনোটাতে এ কথা নেই। একইভাবে আজহারুলের বউ শাহরিয়ার কবিরের কাছে সাক্ষাৎকার দিয়েছে। সেখানেও নিজামী সাহেবের সমন্ধে কোনো কথা বলেননি।

এর আগে মঙ্গলবার সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

এফএইচ/জেডএইচ/এসআইএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।