সোমবার নিজামীর আপিলের রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযুক্ত জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে করা আপিলের রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন আগামীকাল সোমবার। সুপ্রিমকোর্টের আপিলের কার্যতালিকা (কজলিস্টে) মামলাটি চার নম্বরে রযেছে।
সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চে নিজামীর বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপন করা হবে। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
এর আগে গত ২ ডিসেম্বর মামলায় আসামীপক্ষ শেষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। সোমবার অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ করবেন। এরপর ৮ ডিসেম্বর নিজামীর পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্যের জবাব দেয়ার মধ্য দিয়ে শুনানি শেষ হবে মামলার কার্যক্রম।
এর আগে ৩ ডিসেম্বর আদালতে নিজামীর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ও অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান। তাদের সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট শিশির মনির ও ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেন।
এসময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাবুবে আলম ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোমতাজ উদ্দিন ফকির।
যুক্তিতে নিজামীকে সম্পূর্ণ নির্দোষ দাবি করে তার খালাস দাবি করেন আইনজীবী এসএম শাহজাহান।
এর আগে গত ১৭, ১৮, ২৩, ২৪ ও ২৫ নভেম্বর নিজামীর আইনজীবী এস এম শাহজাহান মামলার সাক্ষীদের জবানবন্দী ও জেরা শেষ করেন। ৩০ নভেম্বর থেকে তিনি আপিলের যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৩ নভেম্বর নিজামীর খালাস চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। ১২১ পৃষ্টার মূল আপিল আবেদনে ১৬৮টি যুক্ত দেখিয়ে নিজামীর খালাস চাওয়া হয়। আবেদনে ৬ হাজার ২শত ৫২ পৃষ্ঠার নথি জমা দেয়া হয়।
২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর মতিউর রহমান নিজামীকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মোট ১৬টি অভিযোগের মধ্যে ৮ টিতে দোষী সাব্যস্ত হয়। এর মধ্যে ৪টি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড এবং অপর ৪টি অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।
এছাড়া বাকি ৮ অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় সেগুলো থেকে অব্যাহিতি দেয়া হয়।
এফএইচ/এএইচ/আরআইপি